একদল ট্রফি নিয়ে উল্লাস করছে জয়ের আনন্দে, আর হেরে যাওয়া দলটির খেলোয়াড়রা ইতস্তত বসে মাঠের এককোণে। চোখমুখে একরাশ হতাশা, ফাইনাল শেষের ছবিটা সব সময় এমনই হয়। হারের পর সংবাদ সম্মেলনে কোচ না পারার অনেক অজুহাত দেন, কখনো সেটা রেফারির ভুল কিংবা চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ কোনো খেলোয়াড়কে না পাওয়া। শনিবার রাতে এমন কিছুই বলেননি জুভেন্টাসের কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি। বার্সেলোনার কাছে হেরেছে ঠিকই, কিন্তু এই হারে কোনো দুঃখ বা লজ্জা নেই তাঁর। তাই তো সংবাদ সম্মেলনে নির্দ্বিধায় বলতে পারেন, ‘কিছু আক্ষেপ আছে, তবে এই ফাইনাল থেকে আমরা আরো আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠ ছেড়েছি।’
আন্দ্রেয়া পিয়েরলো মাঠ ছেড়েছেন জলভরা চোখে, তরুণ পল পগবার চোখও ছিল ছলছল। কিন্তু এই কান্নার মাঝেও যেন ছিল উজ্জ্বল আগামীর প্রতিশ্রুতি। জুভেন্টাসের সাদাকালো জার্সিতে এটাই হয়তো ছিল পগবার শেষ ম্যাচ, তাতে হেরে গেলেও প্রতিপক্ষের প্রশংসাই করেছেন এই ফরাসি মিডফিল্ডার, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছি, কিন্তু বার্সেলোনা আমাদের চেয়ে অনেক ভালো দল। তাদের এমন কিছু একটা আছে, যা আমাদের নেই।’ আর কোচ আলেগ্রি, তিনি তো নির্দ্বিধায় মেনে নিয়েছেন কাতালানদের শ্রেষ্ঠত্ব, ‘খেলা শেষে আমি দলের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছি, অসাধারণ একটা মৌসুম উপহার দেওয়ার জন্য। শুধু তার জন্যই নয়, একটা অসাধারণ ফাইনাল উপহার দেওয়ার জন্যও। তারা দারুণ খেলেছে, অসাধারণ চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে। তবে গ্রেট খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলতে নামলে যেটা হয়, যখনই মনে হয় খেলার নিয়ন্ত্রণটা আমাদের হাতে, তখনই তারা সেটা কেড়ে নেয়।’ একই সঙ্গে জানিয়েছেন, ‘চ্যামপিয়নস লিগ ফাইনালে জুভেন্টাসের খেলা নিয়ে তুরিনে বা গোটা ইতালিতে তুমুল আগ্রহ ও উত্তেজনা, এটা ইতালির ফুটবলের জন্যই ভালো। আর সেটা হয়েছে বার্লিনে, এই ছেলেদের জন্য।