পৃথিবীটাকে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ‘টিফানি টু’য়ের। গত মাসে ২৭ বছর ২ মাস এবং ৯ দিন বয়সে শ্যারোনকে কাঁদিয়ে চলে গেলো সে। টিফানি টু নামের বিড়ালটি ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক বিড়াল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। মানুষের ক্ষেত্রে এই বয়স ১২৫ বছরে গিয়ে ঠেকতো। এবিসি সংবাদমাধ্যমকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিড়ালটির মালকিন শ্যরোন জানান, টিফানি ওর শোবার প্যাডে ঘুমের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে মারা গেছে।
জীবনে প্রথমবারের মতো বিড়াল পোষার শখ হয়েছিল সান ডিয়েগোর বাসিন্দা শ্যারোন ভরহিসের। ১৯৮৮ সালের কথা, ১০ ডলারে কমলা আর কালোর মিশেলে একটি বিড়াল কিনলেন। প্রথম বিড়াল বলে কথা। তাই আদর করে নাম রাখলেন ‘টিফানি ওয়ান’।
আবেগতাড়িত কণ্ঠে বিড়ালটির মালকিন বলেন, আমি ১০ ডলার খরচ করে টিফানিকে কিনেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, আমার জীবনের সেরা বিনিয়োগ এটি। ১৯৯০ সালের দিকে টিফানি হারিয়ে গেলো। প্রায় দুই বছর পর আবারো ফিরে এলো শ্যারোনের কাছে। তখন থেকেই সে টিফানি টু। দুজনই দুজনকে পেয়ে খুবই খুশি। পরের ১৪টি বছর শ্যারোন-টিফানিকে কেউ আলাদা করতে পারেনি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড থেকে জানানো হয়, টিফানি টু ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত বিড়াল। তবে কয়েক বছরের জন্যে এ যাবতকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিড়ালের রেকর্ডটা টিফানির হাতছাড়া হয়েছে। এর আগে ‘ক্রিম পাফ’ নামের একটি বিড়াল ৩৮ বছর ৩ দিন বয়সে মারা যায়।
বর্তমানে টিফানির কোনো উত্তরসূরীর সন্ধান করছে গিনিস। তারাও হয়তো নতুন কোনো রেকর্ড গড়বে।