বৃষ্টির কারণে যমুনার পানি বাড়ার সাথে সাথে টাঙ্গাইলে ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত তিন মাসে ভুয়াপুর উপজেলার দুটি ইউনিয়নের ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে নদীতে।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, এখন পর্যন্ত ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সাহায্য পায়নি তারা। এ অবস্থায় জনপ্রতিনিধিরা সহায়তার আশ্বাস দিলেও,পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, সরকারি বরাদ্দ না থাকায় কাজ করতে পারছেন না তারা।
যমুনার করাল গ্রাসে ভুয়াপুরের গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়ন এখন নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। প্রতিদিনই গৃহহীন হচ্ছে নতুন নতুন পরিবার। ভাঙ্গনের তীব্রতা এতো বেশি যে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয়ার সময়টুকুও পাচ্ছেন না গ্রামবাসী। ইতোমধ্যে ফসলি জমি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন কৃষক। একদিকে প্রতিমুহূর্তই ভাঙ্গন আতংক, অন্যদিকে অর্থাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন গ্রামের মানুষ।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, ভাঙ্গন রোধে যেমন নেই কর্তৃপক্ষের নজরদারি, তেমনি এখন পর্যন্ত কোন সহায়তা দেয়া হয়নি তাদের।
এদিকে ভাঙ্গনে ভয়াবহ ক্ষতির কথা স্বীকার করে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলালউজ্জামান সরকার। তিনি বলেন, ‘গতবারেও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১ হাজার পরিবারকে সহায়তা দিয়েছি। এবারও সহায়তা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তালিকা করছি।’
অবশ্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সরকারি বরাদ্দ না থাকায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় কাজ শুরু করতে পারছেন না তারা।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ জানান, বাজেট বরাদ্দ পাওয়া গেলে এখানে কাজ শুরু করা যাবে।’
যমুনার অব্যাহত ভাঙ্গনে গত ৩ মাসে গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়নের ১৫ টি গ্রামের ৩ শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ১’শ একর ফসলি জমি।