বেনাপোল সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা থেকে ৪৬টি স্বর্ণের বারসহ দুই পাসপোর্ট যাত্রীকে আটক করেছে ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমস গোয়েন্দা। আটককৃতদের নাম ঠিকানা জানা সম্ভব হয়নি। তবে, এ স্বর্ণের চালান পাচারের পিছনে বেনাপোল চেকপোস্টের কাস্টমস সুপার উত্তম ঘোষের সহযোগিতা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার(১৩ জুন) বিকাল সাড়ে ৫ টায় ওই যাত্রীরা বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস হয়ে ভারতে প্রবেশ করার মুহূর্তে এ আটকের ঘটনা ঘটে।
বেনাপোল চেকপোস্টের কাস্টমস সুত্রে জানাযায়, ওই পাসপোর্ট যাত্রীরা ঢাকা এয়ারপোর্ট হয়ে শনিবার বিকালে বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তজার্তিক কাস্টমস হাউসে আসে। সেখানে বিশেষ পরিচয় দিয়ে কাস্টমস সুপার উত্তম ঘোষের রুমে বসে ভিআইপি মর্যাদায় ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস পার হয়। কিন্তু ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে আগে থেকে তথ্য থাকায় পেট্রাপোল কাস্টমসে প্রবেশ মুহূর্তেই গোয়েন্দা সদস্যরা তাদের দু’ জনকে আটক করে। পরে তাদের সাথে থাকা একটি টেলিফোন সেট ও পায়ের জুতার মধ্য থেকে ৪৬টি স্বর্ণের বার জব্দ করে। যার ওজন চার কেজি ৬’শ গ্রাম বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সুপার উত্তম কুমার ঘোষ তার বিরুদ্ধে আনিত অবৈধ সহযোগীতার কথা অস্বিকার করে বলেন, এখানকার স্ক্যানিং মেশিনটি দির্ঘদিন ধরে অচল থাকায় চোরাকারবারিরা সুযোগ বুঝে পার হয়ে চলে যাচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর পরেও তা ঠিক হয়নি। একারনে সব ব্যাগ পরীক্ষা করা সম্ভব হয়না। কোন ব্যাগ সন্দেহ হলে তা খুলে হাতে তল্লাশী করা হয়।
এ বিষয়ে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার ফরহাদ হোসেন স্বর্ণের চালান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন। এ ঘটনার পর থেকে চেকপোস্ট কাস্টমসে কর্মরত সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। নতুন স্কানিং মেশিং কেনার জন্য অর্থ মন্ত্রনালয়ের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্টের সুত্রগুলো বলেছেন, এখানে দুটি স্ক্যানিং মেশিনের নতুন সংযোগের পর থেকেই অজ্ঞাত কারণে এ মেশিনগুলী চালাতেন না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ফলে অবহেলা আর অযতেœর কারণে কোটি টাকা মূল্যের স্ক্যানিং মেশিন দুটি বিকল হয়েগেছে। এ নিয়ে দৈনিক স্পন্দনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বারবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। #