প্রায় দুই দশক আগে মুক্তি পাওয়া ‘দীপু নাম্বার টু’ ছবির দীপু চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয়তা পান অরুণ সাহা। অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। পড়াশোনা ও কর্মজীবনের ব্যস্ততায় পরে আর অভিনয় করা হয়নি তাঁর। দীর্ঘ বিরতির পর আবার অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সুযোগও মিলে যায়। গত মে মাসে ঈদের একটি টেলিছবির শুটিংয়ে অংশ নেন। আর এবার একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করলেন। এরই মধ্যে শরাফ আহমেদ জীবনের পরিচালনায় বিজ্ঞাপনচিত্রটির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন অরুণ।
বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করার খবর নিশ্চিত করেছেন অরুণ নিজেই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পড়াশোনার কারণে ‘‘দীপু নাম্বার টু’’-এর পর আর নিয়মিত অভিনয় করা হয়নি। অনেক দিন পর মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করছি। আশা করি, সবার ভালো লাগবে।’
মুহম্মদ জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাস ‘দীপু নাম্বার টু’ অবলম্বনে মোরশেদুল ইসলামের পরিচালনায় ‘দীপু নাম্বার টু’ ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৯৬ সালে। ছবির কাহিনিতে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী দীপুর জীবনের চাওয়া-পাওয়া, হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ তুলে ধরা হয়। ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করে দারুণ সাফল্য পান কিশোর অরুণ। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর।
‘দীপু নাম্বার টু’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর সবাই অরুণকে দীপু নামেই ডাকা শুরু করেন। এ প্রসঙ্গে অরুণ বলেন, ‘তখনকার অনুভূতি অন্য কোনো অনুভূতির সঙ্গে তুলনা করার মতো নয়। সব জায়গায় পোস্টারে আমার ছবি দেখে খুব ভালো লাগত। লোকজন আমাকে দীপু নামে ডাকত। অনেক প্রশংসা করত। সব মিলিয়ে তখন সোনালি সময় পার করেছি আমি।’
‘দীপু নাম্বার টু’ ছবিতে অভিনয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও এনে দেয় অরুণকে। পুরোনো সেই স্মৃতির কথা জানাতে গিয়ে অরুণ বলেন, ‘ছবি মুক্তির দুই-তিন বছর পর শিশুশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছিলেন, গলায় মেডেল পরিয়ে দিয়েছিলেন। সেদিন মজার একটা ঘটনা ঘটেছিল। শেখ হাসিনা আমার গলায় মেডেল পরানোর সময় হঠাৎ মেডেলের ফিতা ছিঁড়ে যায়। তখন ছেঁড়া ফিতায় গিট্টু লাগিয়ে আমার গলায় পরিয়ে দেন তিনি। আমি অভিভূত হয়ে যাই। সে ঘটনা কোনো দিনও ভুলতে পারব না। আজও সেই গিট্টু দেওয়া ফিতাসহ মেডেলটি আমি সযত্নে রেখে দিয়েছি।’