চার বছর পর মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ পাচ্ছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রা বলছে, এর মাধ্যমে, বছরে নিশ্চিত হবে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান। তবে, অভিবাসন খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও দক্ষ শ্রমিক পাঠানো নিশ্চিত করতে সরকারকে কঠোর নজরদারির পরামর্শ রামরু’র।অটোমোবাইলের কাজ শিখছে কেউ, কেউবা শিখছে মেশিনারিজের কাজ। বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের এই শিক্ষার্থীদের চোখে স্বপ্ন পূরণের হাতছানি। কোর্সটা শেষ হলেই পাড়ি জমাবেন ভিন দেশে। তাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রায় বদলে যাবে পরিবারের আর্থিক অবস্থা। মালয়েশিয়ায় দীর্ঘদিন পর প্ল্যান্টেশন ছাড়াও অন্যান্য পেশায় বেসরকারিভাবে শ্রমিক নেয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, এমন খবরে স্বপ্ন তাদের, আরও জোরালো হয়েছে।২০০৬ থেকে ২০০৯ সালে মোট ৫ লাখ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় অভিবাসী হয়েছিলেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, এর মধ্যে তিন লাখই গিয়েছিলেন অবৈধভাবে। এতে, ওই বছরের পর বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়াই বন্ধ করে দেয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি।
দেশের বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রতিনিয়ত এভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করে চলেছেন হাজারো তরুণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, মালয়েশিয়া সম্প্রতি বেসরকারিভাবে শ্রমিক প্রেরণের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাতে অবশ্যই এই দক্ষ জনশক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নইলে, অদক্ষ শ্রমিক পাঠানো হলে অন্যান্য বারের মত এবারও এই শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন তারা।
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের গবেষক আনসার উদ্দিন মোহাম্মদ আনাস বলেন, ‘মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য যে বিপুল পরিমাণ খরচ হয় তা সঠিক নজরদারির জন্য কঠোর হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ হলে শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ‘
২০১২ সাল থেকে দুই সরকারের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানো শুরু হলেও তিন বছরে মাত্র সাত হাজার শ্রমিক যেতে পেরেছেন। এমন বাস্তবতায়ই, গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট বা জি টু জি পদ্ধতি সংস্কার করে এতে বেসরকারি জনশক্তি রপ্তানিকারকদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।বায়রা সভাপতি মো. আবুল বাশার জানান, ‘প্রতিবছর ১ লক্ষেরও অধিক শ্রমিক মালয়েশিয়াতে পাঠানোর সম্ভাবনা আমরা দেখছি।’প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকারি পদ্ধতি অনুসরণ করে ডাটাবেজ অনুযায়ী শ্রমিক পাঠাতে হবে। ‘