পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাশে সিডিএর নির্মিতব্য আউটার রিং রোড ঘেঁষে নান্দনিক আবাসিক এলাকাসহ নতুন উপশহর গড়তে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিডিএ। ৭শ’ একর জায়গায় গড়ে তোলা হবে সব নাগরিক সুবিধা সমন্বিত পরিবেশ বান্ধব আবাসিক প্রকল্প।

এছাড়া সাগরকে ঘিরে হোটেল, মোটেল ও আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্রসহ এটি হবে পর্যটন নির্ভর ভিন্ন আঙ্গিকের শহর। ইতোমধ্যে প্রকল্প প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করেছে। সরকারি অনুমোদন পেলেই শুরু হবে জমি অধিগ্রহণের কাজ।

পাহাড় ও সাগর পাহাড় বেষ্টিত হলেও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে এতদিন সাগরকে কাজে লাগিয়ে আবাসিক বা পর্যটন নির্ভর কোন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়নি। অথচ মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মতো সাগর তীরবর্তী সব দেশেই সৈকতের পাশে গড়ে উঠেছে নান্দনিক স্থাপনা ও পর্যটন এলাকা।

অবশেষে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত নির্মিতব্য আউটার রিংরোড ও বেড়িবাঁধের পাশের খালি জায়গায় পর্যটন নির্ভর নতুন শহর নির্মাণে এগিয়ে এসেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সাগরের রিং রোড যেটা হচ্ছে তার পাশে যে জায়গাগুলো আছে সেগুলো অধিগ্রহণ করে আমরা প্রায় ৭শ’ একর জমিতে নতুন শহর গড়ে তুলব।’

মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে ইতোমধ্যে প্রকল্প প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করেছে সিডিএ। কর্মকর্তারা জানান, আড়াই হাজার প্লটসহ পরিবেশ বান্ধব এই শহরটি হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

চউক ভারপ্রাপ্ত নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে চট্টগ্রামের জন্য এটা একটা ভিন্ন আঙ্গিকের পর্যটন নির্ভর একটা শহর।’

এছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ে আউটার রিংরোডের পাশে সৈকতের অগভীর এলাকা থেকে জমি উদ্ধার করে আধুনিক পর্যটন জোন করার পরিকল্পনা রয়েছে সিডিএ’র। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগও বাড়বে।

চউক প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান বলেন, পর্যটন নির্ভর সব স্থাপনা সেটা করে আমরা একটা প্রজেক্ট নিতে পারি।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আলী আশরাফ বলেন, ‘স্পেশাল পর্যটন এলাকার মতো যদি একটা দ্বীপ তৈরি করা যায় যেখানে শুধুমাত্র পর্যটন রিলেটেড কর্মকাণ্ডগুলি চলবে এবং সেটা বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া যাবে। যদি এটা আমরা করতে পারি তাহলে চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ বাড়বে।’

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮’শ ৭০ কোটি টাকা।