ধামরাই প্রতিনিধিঃসাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়ন এলাকায় বুধবার রাতে এক তরুণী (২৫) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে।ধর্ষিতা তরুণীকে স্থানীয় চৌকিদারের সহযোগিতায় সাভার মডেল থানা পুলিশ উদ্ধারের পর স্থানীয় স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
ধর্ষিতা মেয়েটির বাড়ি যশোর এলাকায় বলে জানা গেছে। কিন্তু গতকাল বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন এবং সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামনের কাছে ঘটনার বিষয়টি জানতে চাইয়ে তারা এনিয়ে লুকো চুরি করেন। বুধবার রাত ১২টার দিকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে গেলে দায়িত্বরত নার্স জানায়, সাভার থানার এসআই নূর মোহাম্মদ ধর্ষিতা রোগীর সঙ্গে কাউকে দেখা ও কথা বলতে নিষেধ করেছেন। কথা বলতে হলে তার অনুমতি লাগবে। পরে এস আই নূর মোহাম্মদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি। রাত সাড়ে ১২টারদিকে সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার এসআই মালেকর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে তিনি জানান, এ জাতীয় কোন অভিযোগ থানায় কেউ দেয়নি। এছাড়া তিনি এ রকম কোন ঘটনা শুনেননি। স্থানীয়রা জানায়, মেয়েটির বিয়ে হয়েছিলো। কিন্তু এখন তার স্বামী নাই। সে বিদেশ যাওয়ার জন্য একটি দালালচক্রকে টাকা দিয়েছিলো। সেই দালালচক্র মঙ্গলবার তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে কৌশলে রাত গভীর করে ভাকুর্তা ফিরে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ভাকুর্তা ইউনিয়নের চাপলা এলাকার আবুল মার্কেটের পাশে ঐ তরুণীকে তারা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গণধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় চৌকিদার সারোয়ার হোসেন বিষয়টি জানতে পারলে ভার্কুতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জিএম সালাহ উদ্দিনকে খবর দেন। সংবাদ পেয়ে ফাঁড়ির পুলিশ ইনচার্জ সাভার মডেল থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে থানার টহল পুলিশ ও ফাঁড়ির ইনচার্জসহ চাপলা ইট ভাটার পাশ থেকে হাত ও মুখ বাঁধা এবং অচেতন অবস্থায় ধর্ষিতা তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় সেখান থেকে একটি ধারালো ছোড়াও উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। সূত্র জানায়, ধর্ষিতা মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে সন্ত্রাসী মাইন উদ্দিন, সানাউল্লা সানু নামে ২ জনকে চিনতে পেরেছে বলে পুলিশকে জানায়। পরে সন্ত্রাসীদের সাথে আতাত করায় থানা পর্যন্ত সংবাদ যায়নি। এ ব্যাপারে ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জিএম সালাহ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চৌকিদারের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটির হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে সাভার স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সাভার স্বাস্থ্য স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কর্মরত একটি সূত্রে জানায় মেয়েটিকে মঙ্গলবার রাত ৩ টারদিকে (বুধ বার ভোরে) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা খুবই খারাব ছিলো। এখন কিছুটা সুস্থ্য। সে ডাক্তার জাহিদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রতিবেদকঃ আনোয়ার হোসেন রানা