তৃণমূল পর্যায় থেকে বিভাগীয় শহর পর্যন্ত দলকে আরও চাঙা এবং শক্তিশালী করার জন্য নেতাদের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য থেকে ছয় দিনের সফর শেষে ঢাকায় ফেরার আগে সকালে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি এমন নির্দেশনা দেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, সকাল ১০টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি (বিজি-০১৬) সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে এক ঘণ্টার যাত্রাবিরতির পর উড়োজাহাজটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
সিলেটে পৌঁছানোর পর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর বিমানবন্দরের ভেতরেই নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে করেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন নেতা জানান, তখন প্রধানমন্ত্রী সিলেটকে আওয়ামী লীগের অন্যতম ‘শক্তিশালী ঘাঁটি’ উল্লেখ করে দলকে আরও শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাইকে কাজ করার নির্দেশ দেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের তিনজন নেতা জানান, শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এরপর তিনি অতীতের চারদলীয় জোট সরকারকে ইঙ্গিত করে ওই সময় সিলেটে কোনো উন্নয়ন না-হওয়ার বিষয়ে বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রী সে সময় বলেন, অন্য দলের বাঘা বাঘা মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও সিলেটের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়নি। বর্তমান সরকার সিলেটের জন্য অনেক উন্নয়ন করেছে। ভবিষ্যতে আরও রা হবে। সিলেট বিভাগ বাস্তবায়ন থেকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা-সবই আওয়ামী লীগ করেছে।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নানান সাফল্যজনক অর্জনের কারণে আমরা স্থানীয় নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে সিলেটে একটি সুবিধাজনক সময়ে সংবর্ধনা দেওয়ার আগ্রহের কথা নেত্রীকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি টিউলিপসহ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নির্বাচিত তিন এমপিকে সিলেটবাসীর উদ্যোগে সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন। পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যেন অব্যাহত থাকে, সে জন্য দলকে শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছেন।’
বৈঠকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, সিলেট মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।