২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে করের আওতা বাড়ানোয় গত তিন মাসে মোবাইল আমদানি কমে গেছে। এ বছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ প্রথম তিন মাসে মোবাইল আমদানি কমেছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বিএমপিআইএর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল আমদানি হয়েছিল ৮২ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৩ ইউনিট, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে আমদানি হয়েছিল ৬৭ লাখ ৮৮ হাজার ৯৫২ ইউনিট যা এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চে এসে দাঁড়িয়েছে ৫১ লাখ ১১ হাজার ৪২২ ইউনিট। স্মার্টফোনের আমদানিও কমেছে এ বছরে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে আট লাখ ৮০ হাজার ৩৭২ ইউনিট স্মার্টফোন আমদানি হলেও এ বছরের প্রথম তিন মাসে তা আট লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৩ ইউনিটে নেমে এসেছে।
সর্বস্তরের জনগণের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী আলোচনায় মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির ওপর আরোপিত শুল্ক হ্রাস করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে মোবাইল আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)।
ইন্টারনেট সহজলভ্য করার জন্য মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির ওপর কর হ্রাসের আবেদন জানিয়েছেন বিএমপিআইএর সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক, জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট রাকিবুল কবীর, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ এটিএম মাহবুবুল আলম, পরিচালক সালাহউদ্দীন আলমগীরসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিএমপিআইএর কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ ধরনের পরিকল্পিত বাজেটকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে এ বছরের বাজেটে দেশের মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজারে স্বস্তিমূলক কোনো বার্তা আসেনি। বর্তমানে মোট ২১ দশমিক ৭৫% কর দিতে হচ্ছে। কর কমানো হলে চোরাই পথে মোবাইল আমদানি রোধ করা যাবে। এ ছাড়া দেশের কম্পিউটার শিল্পের মতো মোবাইল হ্যান্ডসেটেও একটি সহজ ও সহনীয় শুল্ক নীতিমালা দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।