বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর খালাস চেয়ে দায়ের করা আপিল আবেদনের অষ্টম দিনের শুনানিতে আজ সোমবার চারজন ডিফেন্স সাক্ষীদের সাক্ষ্য উপস্থাপন শেষ হয়েছে। এরপর ট্রাইব্যুনালের রায়ের কিছু অংশ পড়ার পর আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়েছে।
আজ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ সপ্তম দিনের মতো সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের শুনানি গ্রহণ করেন। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আজ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী এসএম শাহজাহান প্রথম ডিফেন্স সাক্ষী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নিজের সাক্ষ্য এবং অপর তিনজন ডিফেন্স সাক্ষী নিজাম আহমেদ, কাইয়ুম রেজা চৌধুরী এবং আবদুল মোমেন চৌধুরীর সাক্ষ্য পড়া শেষ করেন। এরপর তিনি ট্রাইব্যুনালের রায়ের কিছু অংশ পড়ার পর আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের রায় পড়া শেষ হলে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হবে বলে আইনজীবীরা জানান।
এর আগে গত সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: নূরুল ইসলামের সাক্ষ্য পড়া শেষ হয়।
শুনানির সময় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল-আমীন উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ১৬ জুন থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল আবেদনের শুনানি শুরু হয়।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ে তার বিরুদ্ধে আনীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। বাকি ১৪টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। প্রমাণিত অভিযোগগুলো হলো- ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৭ ও ১৮ নম্বর। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬ এবং ৮ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। আর ২, ৪, ৭ অভিযোগে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ১৭ এবং ১৮ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। মোট ১ হাজার ৩২৩ পৃষ্ঠার নথিপত্রসহ ২৭টি গ্রাউন্ডে আপিল দায়ের করা হয়।