ফেসবুক পেজে বোনের সাথে তোলা ছবি পোস্ট নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় ইতিমধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে পছন্দ না করলে অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন টাইগার অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। আর নাসিরের পাশে থাকার জন্য নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এসব ঘটনার মূল হোতা ওইসব অসুস্থ মানসিকতার অশালীন মন্তব্যকারীদের সন্তাক্ত করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে গোটা অনলাইন জুড়ে।
নোংরা মন্তব্যকারীরা হলেন- নূরে আলম সিদ্দীকী, মুহাম্মদ নুরুল করিম আকিব, হৃদয় আহমেদ শিপু, তাহসিন, আমিন মুহাম্মদ, তারেক হাসান রুমেল, মামুনর রশিদ, ফাহিম, আহামেদ সুমন। এসব অসুস্থ মানসিকতার ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে ছবিতে দেওয়া তাদের নাম থেকে পরিচয় জেনে নিতে পারেন।
ঘটনার সূত্রপাত: ২৫ জুন নাসির হোসেন তার ছোটবোনের সাথে তোলা একটি সেলফি তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। মূলত ছোট বোনের আবদার রক্ষা করতেই এ ছবি তোলা এবং ফেসবুকে পোস্ট করা। কিন্তু সেই ছবিতে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ও নোংরা মন্তব্য করে কতিপয় বিকৃত মানসিকতার ফেসবুক ব্যবহারকারী। এতে ব্যথিত হয়ে উক্ত ছবিটি ডিলিট করেন নাসির হোসেন এবং এর প্রতিবাদ জানিয়ে একটি অভিমানি পোস্ট দেন তার পেইজে।
তিনি লিখেন, “আপনাদের খারাপ মন্তব্য দেখে অনেক কষ্ট পেলাম। আমার ছোট বোনের আবদার মেটাতে তার সাথে আমার ছবি পেজে পোস্ট করেছিলাম। তাই বলে আপনারা অনেকেই বাজে মন্তব্য করেছেন। যেটা নিয়ে অনেকেই ফান পোস্টও করছেন। পোস্টটা ডিলেট করে দিলাম এখন খুশি তো? আপনাদের মত ফ্যান আমার দরকার নাই। আমাকে যারা পছন্দ করেন না তারা আমার ছবিতে লাইক দিবেন না। আমাকে ফলো করবেন না।”
এই ঘটনার পর নাসিরের সাথে করা এমন নোংরামির বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে গোটা ফেসবুক। নিন্দার ঝড় বয়ে যায় এসব মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি উক্ত ঘটনায় দোষীদের শাস্তিরও দাবি জানানো হয়। আর বাংলাদেশি কিছু নোংরা মানসিকতার ফেসবুক ব্যবহারকারীদের এমন মন্তব্যে জাতীয় দলের অধিনায়ক মাফরাফি বিন মর্তুজা তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজটিতে বাংলাদেশকে ‘কান্ট্রি রেস্ট্রিক্ট’ করে দেন, যার ফলে বাংলাদেশের কোন ফেসবুক ব্যবহারকারীই মাশরাফির পেজটি আর দেখতে পাচ্ছেন না।