সাঘাটায় যমুনা নদীর ভাঙন রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরাদ্দকৃত ১শ ৩৫ কোটি টাকায় বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের কাজে নিম্নমানের বালু, পাথরসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিকে সিসি ব্লক নির্মাণেও নিম্নমানের বালু ও পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া জিও টেক্সটাইল ব্যাগেও মোটা বালুর পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁদা চিকন বালু।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর ভাঙন থেকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা বাজার, সাঘাটা থানা ভবন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রক্ষায় ভাঙ্গন প্রতিরোধ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১শ’ ৩৫ কোটি টাকা। এই টাকা দিয়ে যমুনা নদীর চার দশমিক আট কিলোমিটার এলাকায় সিসি ব্লক, বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ স্থাপন করে সাঘাটা বাজারের উত্তরে মুন্সিরহাট হতে দক্ষিণে চিনিরপটল পর্যন্ত তীর সংরক্ষণ কাজ চলছে।
তিন পর্যায়ে দরপত্র আহবান করে ১৩ জন ঠিকাদার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। ২০১০ সালের জুলাই মাসে কাজ শুরু হয়। গত ৩০ মে পর্যন্ত ৭০ ভাগ কাজ হয়েছে। প্রাক্কলন অনুযায়ি সিসি ব্লক তৈরিতে সিমেন্ট, বালু ও পাথর ব্যবহারের অনুপাত হবে ১ঃ৩ঃ৬ (একভাগ সিমেন্ট, তিনভাগ মোটা বালু ও ছয়ভাগ পাথর মিশ্রণ)। ৩৫. ৪০ ও ৪৫ ঘন সেন্টিমিটারের তিন আকারের সিসি ব্লক তৈরি হচ্ছে। চিনিরপটল গ্রামের ব্যবসায়ী গোলাম হোসেন বলেন, জিও ব্যাগ পলি মাটি দিয়ে ভরাট করতে দেখা গেছে। এছাড়াও মোটা বালুর পরিবর্তে কাঁদা মিশ্রিত চিকন বালুও ব্যবহার করা হচ্ছে।