স্বদেশ নিউজ ২৪ ডটকম: গত ৩০ জুন ২০১৫ ইং মঙ্গলবার বসুনধরা আর্ন্তজাতিক কনভেনশন সেন্টার-২ এ জাগো ফাউন্ডেশনের আয়োজিত ইফতারের আয়োজন করা হয়। ইফতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাখসান্দ, জুনাইদ আহমেদ পলক, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মাহি বি চৌধুরী, নদী রশিদ, তরুন নেতা জুনায়েদ সাকি, রবির নির্বাহী সহ-সভাপতি তোফায়েল রশিদ, ঢাকা ট্রিবিউন এর সম্পাদক জাফর সোবহান, হানিফ জাকারিয়া, কাজী মোহাম্ম্মদ সাহেদ, তারিন হোসেন, জারা মাহবুব, এয়ারটেল এর চীফ সার্ভিস অফিসার রুবাবা, সাদিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মাহি বি চৌধুরী বলেন- “আজ আমি নিজেই অনুপ্রাণিত জাগোকে দেখে।”
এয়ারটেল এর চীফ সার্ভিস অফিসার রুবাবা বলেন- ‘আমি শিশুদের কাছ থেকে তাদের স্বপ্ন সম্পর্কে যখন শুনি তখন আমি ভাবছি এর আগে কেন জড়িত হলাম না এদের সাথে।
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জারা মাহবুব বলেন-" আমি জাগো একটি অংশ হতে পেরে অনেক খুশি।
উক্ত ইফতার অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিনিধির পাশাপাশি রেডিও স্বদেশ ডট নেট, স্বদেশ নিউজ ২৪ ডটকম এর চেয়ারম্যান সাইমুর রহমানও উপস্থিত ছিল।
২০০৭ সালে ‘জাগো’ নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বুকে লালিত স্বপ্নের কথা ভেবেই তাদের যাত্রা শুরু করে। তাদের যাত্রার কারনেই আজ আজ হাজারো শিশুরা শিক্ষার আলো দেখতে পাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ‘জাগো’র সকল সদস্যবৃন্দরা নিরলস চেষ্টা, পরিশ্রম, মেধা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে এগিয়ে চলছে।
জাগো’র শুরুতে যেসব শিশুকে জিজ্ঞেস করা হতো তুমি ভবিষ্যতে কি হবে তখন তারা বলরো রিক্সা চালক, কেউ সিএনজি চালক সর্বোচ্চ হলুদ ক্যাব চালক। আর আজ তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে বলে- পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার ইত্যাদি।
ইফতার অনুষ্ঠানে জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাখসান্দ তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড সকলের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাগো ফাউন্ডেশন ২০০৭ সালে রায়ের বাজারে ১৭ জন শিশুকে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন। ২০১১ সালে তারা প্রথমে গ্রামীনফোনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা পান। পরে অগ্নি সস্টেম এর কারিগরি সহায়তায় সর্বপ্রথম অনলাইন স্কুল শুরু করেন। বর্তমানে তারা ১৩টি স্কুলে ১৮০০ সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা দান করে আসছেন।
রেডিও স্বদেশ ও স্বদেশ নিউজ ২৪ কে একান্ত সাক্ষাতকারে আমরা জাগো’র প্রতিষ্ঠাতার কাছ থেকে জানতে পারলাম যে, জাগোর মূল লক্ষ্য সুবিধা বঞ্চিতদের মান সম্মত শিক্ষা দান করা যার আলোকে তারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এবং তারা তাদের শিক্ষা পদ্ধতিকে ‘হাইব্রীড মিডিয়াম’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন।
জাগো ফাউন্ডেশন তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন অনলাইন ভিত্তিতে আর এই লক্ষে ‘আমার বাংলা বই’ এর অডিও ভিজুয়াল এইড তৈরীর লক্ষ্যে, ডট-৩ প্রোডাক্টশনের সহযোগিতায় স্টুডিও মনস্টার এর সাথে যৌথভাবে ১টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তাদের বিশ্বাস এই অডিও ভিজুয়ালের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা আরও কার্যকরী হয়ে উঠবে আর শিশুদের মনোযোগ আর্কষনে অনেকটা সহায়ক। যেটা আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার আধুনিক অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করেন জাগো’র কর্মকর্তারা।
জাগো কর্মকর্তারা আরও আশা করেন তারা এইচ.এস.সি পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করার ইচ্ছা পোষন করেন। বর্তমানে তারা জে.এস.সি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্য দিয়ে। এরপর জাগোর কমিউনিকেশন বিভাগের নুসরাত জেরিন ও নদীর সহায়তায় আমরা জাগোর অনলাইন ক্লাসরুম ও সাধারণ ক্লাসরুম এবং ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব পরিদর্শন করা হয়। শিক্ষকদের সাথে কথা বলে শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থার খোঁজ খবর নেই আমরা সেই সাথে জাগো’র উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে একটি সুইং হাউজ। যেখানে যুবতীদের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।
অনলাইন, সাধারন ক্লাসরুম, সুন্দর একটি খেলার মাঠ আর বন্ধু সুলভ শিক্ষক সাথে সমাজের কিছু হৃদয়বান মানুষের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে জাগো ফাউন্ডেশন। এগিয়ে যাচ্ছে আগামীদর পথে সুষ্ঠ সুন্দর আগামী গড়তে চায় জাগো ফাউন্ডেশন। সেই সাথে বাংলাদেশকে আরও নতুনভাবে বিশ্ব মানচিত্রে তুলে ধরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জাগোর উদ্যোমি ও সৃজনশীল কর্মকর্তাবৃন্দ।
স্বদেশ পরিবারের পক্ষ থেকে ‘জাগো’ এর উত্তম উদ্যোগকে স্বাগত ও সাধুবাদ জানাই। এবং রেডিও স্বদেশ ও স্বদেশ নিউজ ২৪ এর সম্পাদক সাইমুর রহমান বলেন- আমাদের সমাজের সচেতন মানুষদের এই উত্তম কাজের সহযোগি হতে বিশেষভাবে আহবান জানাচ্ছি। স্বদেশ পরিবারও ‘জাগো’র এর ভালো কাজে আগামীতে তাদের সাধ্যমত সহযোগিতা করবে।