মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ইউনিটের সাবেক কমান্ডর আয়ুব খানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে গতকাল সকালেই। তবে এখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে তর্কবিতর্ক।
মৃত্যুর পরের সুইসাইডাল নোটে তিনি লিখেছেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিবের গলা ধাক্কার অপমান সইতে না পেরে তিনি বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ। তবে একে আত্মহত্যা বলে মানতে চাইছে না অনেকেই। তারা বলছেন, এটা একরকমের হত্যাকাণ্ড। নিলয় সোবহান নামে একজন ব্লগার তার ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন, ‘এক এক জন মুক্তিযোদ্ধা হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি, একজন বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিলো বিধায় এক এক জন মুক্তিযোদ্ধার জন্ম হয়েছিলো, আর এক এক জন মুক্তিযোদ্ধার জন্ম হয়েছিলো বিধায় আজকের লাল সবুজের বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিলো। যারা জন্মদাতাকে সম্মান করতে জানেনা তারা দেশমাতাকে কি করে সম্মান করবে প্রশ্ন থেকে যায়? ১৯৭৫ রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো আজ আবার তারই প্রতিচ্ছবি আইউব খান (৬৫) কে হত্য করা হলো, হ্যা আমি বলবো এটা হত্যা, আত্মহত্য নয়।’
এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়াতেই ওম্মেদ হোসেন নামে আরেকজন ফেসবুকে প্রশ্ন তুলেছেন. ‘ আমাদের দুর্নীতি দমন কমিশন করে কি । এদের চোখে কি কিছু পড়ে না । একজন মানুষ আত্মহত্যা করলো ঘুষের টাকা ফেরত নিতে গিয়ে । তারপরও এদের চোখে কিছু পড়ে না । জনগনের ট্যাক্সের টাকায় এমন কানা দুর্নীতি দমন কমিশন পালা দরকার কি ’
মাহবুব রাজিব নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জীবিত অবস্থায় প্রাপ্য সম্মান পেলেন না, মৃত্যুর পর পেলেন রাষ্ট্রীয় সম্মান। সত্যি সেলুকাস! কি বিচিত্র এই দেশ!’
তবে ভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়াও পাওয়া গেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা ঘুষ দেয়ার মতো কাজ করতে পারেন কী করে, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
হাসান ইমাম খান নামে একজন তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার প্রধান শর্তই তো হলো সারা জীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন ও সৎ জীবন যাপনের। যিনি জীবন বাজী রাখলেন দেশ জাতির মুক্তির, তিনিই তাদের একটি সামান্য কমিটির কিছু হওয়ার লোভের পরিনতিতে তার জীবন ত্যাগ করলেন ! (?) আমার তো মনে হয় সৎ জীবন যাপনের জন্য তার যে সব সতীর্থ রিক্সা চালান, মুদি দোকান চালান বা ঝালমুড়ী বিক্রী করে জীবিকা উপার্জন করে তার সৎ জীবন যাপনের যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছেন, তিনিই প্রকৃত মুক্তি যোদ্ধ…..কারন, মুক্তিযোদ্ধাকে সারা জীবন তার চেতনা ধারন করেই মুক্তিযোদ্ধা থাকতে হয়।’