টানা ৪ হারে জর্জরিত বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় একদিনের ম্যাচের পর, দক্ষিণ আফিকার বিপেক্ষ দুটি টোয়েন্টি এবং শুক্রবার শেষ হওয়া একদিনের ম্যাচ। টানা এই ৪ হারে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস তাই তলানীতে। যদিও মাশরাফি মানসিকভাবে শক্ত থাকার উপর গুরুত্ব দিলেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এখনো ফিরে আসা সম্ভব বলে মনে করছেন মাশরাফি।
গত পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে পরপর দুটি সিরিজে বাংলাদেশ দূর্দন্ত ক্রিকেট খেলেছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি সিরিজে বাংলাদেশ আগের চেহারা যেন ফিরে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ভাল ক্রিকেট খেলছে; নাকি আমরাই খারাপ ক্রিকেট খেলছি এমন প্রশ্নে মাশরাফি বলেছেন, আমরা আগেই জানতাম ওরা ভাল ক্রিকেট খেলবে। তার মানে এই নয় যে, আমরা যেভাবে খেলছি সেভাবে খেলি। আমাদের আরও ভাল খেলার সুযোগ রয়েছে। এখনও আমাদের হাতে ২টি ম্যাচ আছে; আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগও আছে। আমি আশা করছি দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে অন্তত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব পরবর্তী দুটি ম্যাচে। দক্ষিণ আফ্রিকা ভাল দল কিন্তু আমরা এর চেয়ে ভাল খেলতে পারি।
টানা হারে আত্মবিশ্বাস কিছুটা কমে গেলেও সেখান থেকে ফিরে আসা সম্ভব বলে মনে করছেন মাশরাফি। তিনি বলেছেন, দল টানা হারতে থাকলে কিছুটা ব্যকফুটে অবশ্যই থাকে। আশা করব সবাই এখান থেকে ঘুড়ে দাঁড়াতে পারবে।
নিজেদের ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ের কারনেই কি রাবাদা হ্যাটট্রিক করার সুযোগ পেল নাকি বোলার হিসেবে তাকে সেরার স্বীকৃতি দেবেন এ প্রশ্নে মাশরাফি বলেছেন, অবশ্যই ব্যাটিং ব্যর্থতাও একটি বিষয়। হ্যাটট্রিক করেছে, তাকে (রাবাদা) কৃতিত্ব দেয়া উচিত। এটা তার জীবনের অনেক বড় একটি অর্জন।
তিনি আরও যোগ করে বলেন, পরপর তিনটি উইকেট হারানোর পর যে কোনো দলই ব্যাকফুটে থাকবে। উইকেট ভাল ছিল, সেটা সাকিব এবং নাসির প্রমাণ রেখেছে। আমাদের জুটি না হওয়ায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ২২০ রান হলেও আমাদের স্পিনাররা আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারত।
প্রথম ওভার মুস্তাফিজুর শুরু করলেও অপর প্রান্তে নাসির শুরু করেছেন। নাসিরকে কেন পরিকল্পনায় রাখা হলে এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেছেন, ওদের (দক্ষিণ আফ্রিকা) বিপক্ষে স্পিনারদের দিয়ে যতটা সম্ভব আক্রমণ করার একটা পরিকল্পনা আমাদের শুরুতেই ছিল। এছাড়া উইকেটে কিছুটা টার্ন ছিল, এই জন্য দুইটা ওভার দেখা হয়েছিল।
টানা খেলতে হচ্ছে-এটা কোনো প্রভাব ফেলছে কিনা এ প্রশ্নে মাশরাফি বলেছেন, এটা অজুহাত হয়ে যাবে। এটাকে কোনো কারণ মনে করছি না। আমাদের সূচি এমন এটা আমরা আগে থেকেই জানতাম। সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার কথা। হয়ত আমরা এভাবে অভ্যস্ত নয়। তবে এটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাবো না।
টোয়েন্টি ২০ সিরিজের আগে ইফতার পার্টিতে প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াত ছিল। সেখানে ক্রিকেটাররাও সবাই উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সিরিজ চলাকালে মুস্তাফিজ-সৌম্য ইফতার পার্টির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জয়েন করেছেন। এছাড়া স্পন্সর প্রতিষ্ঠান রবিবার বিজ্ঞাপন চিত্রেও অংশ নিয়েছেন ক্রিকেটাররা। ম্যাচের আগে এগুলো কোনো প্রভাব ফেলছে কিনা এ প্রশ্নে মাশরাফি বলেছেন, ম্যাচ হারলে এমন অনেক কথাই আসবে। আসলে খেলার সঙ্গে এগুলোর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা খারাপ খেলেছি বলেই এই কথাগুলো আসছে। এখন আমাদের একটাই করার আছে নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো। আমরা চেষ্টা করব মাঠে নিজেদের প্রমাণ করার। যে কাজগুলো করলে আমাদের পক্ষে রেজাল্ট আসবে সেগুলো নিয়ে লেগে থাকা।