২০ বছর আগে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন একজন নারী, সেই ঘটনা তিনি প্রকাশ করেছেন সম্প্রতি। আর এতে ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে কেন ধষণের সেই ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে এতোদিন সময় নিলেন তিনি? হিউম্যানস অফ বোম্বে নামক একটি ফটোব্লগে স্বপ্না মতি ভবানী নামের ওই ভারতীয় নারী তার ধর্ষণের কথা বর্ণনা করেন। তিনি জানান, ২৪ বছর বয়সে শিকাগোতে একটি বারের সামনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তিনি। তার এই পোস্টটি ৬৫ হাজারেরও বেশিবার পড়া হয়েছে এবং ৬ হাজারেরও বেশি শেয়ার করা হয়েছে। বন্দুকের মুখে তাকে একদল পুরুষ সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে বলে জানান বর্তমানে ভারতে হেয়ারড্রেসার হিসেবে কর্মরত এই নারী। তবে সেই ধর্ষণের পর ভেঙ্গে পড়েননি বলেই জানান স্বপ্না। তিনি বলেন, ‘আমার মনে আছে আমি যখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলাম তখন বারবার আমার মাথা থেকেই ঘটনাটি দূরে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছিলাম। আমি কখনোই ঘটনাটিকে আমার আত্মবিশ্বাস ভেঙে ফেলতে দেইনি।’ ঘটনাটি সত্যিই তার জীবনে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেননি। অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গেই তিনি জীবনে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। এখনো ছোটো পোশাক ও ঠোটে গাঢ় লিপস্টিক দেন বলে জানান স্বপ্না। তিনি বলেন, আমার যখন ১৪ বছর বয়স, আমি তখন থেকেই ছেলেদের সঙ্গে কথা বলতাম, মোটরবাইক চালাতাম, ধূমপান করতাম।’ আর এজন্য এলাকার মানুষদের কাছে অনেক কথাও শুনতে হয় বলে জানান তিনি। কিন্তু এমন একটি ঘটনা কেন এতোদিন চেপে রেখেছিলেন তা বুঝতে পারেন না তিনি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক পৃথিবীতে বসবাস করি যেখানে আওয়াজ তোলা খুবই কঠিন। আমি জানি কেউই মার খেতে চায় না বা ধর্ষণের শিকার হতে চায় না। তবুও এ কথাটি বলতে আমার ২০ বছর লেগে গেলো।’ তার মতো অনেক মেয়েই হয়তো এমন অনেক সত্য কষ্ট করে লুকিয়ে রেখেছে। তবে এই গোপন রাখার বিষয়টি নারীর দুর্বলতা নয় বরং এটিই তাদের শক্তি বলে জানান স্বপ্না।