লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিয়ের পর ভালোবাসা কমে যেতে থাকে। সবচাইতে সমস্যা হয় যারা প্রেম করেই বিয়ে করেন তাদের জন্য। দাম্পত্য জীবনে পা দেয়ার পর সুখটা দূরে সরে যেতে থাকে এবং একে অপরকে দোষাদোষী করতেই বেশী দেখা যায়।
পারিবারিকভাবে বিয়ের ফলাফলও যে খুব ভালো, তা বলা যাবে না। তাহলে দাম্পত্য জীবনের সুখ আসলে কোথায়?
কোনো দম্পতিই কী সুখী নন? এমন অনেক দম্পতিই আছেন যারা দাম্পত্যজীবনে অনেক সুখী। দাম্পত্য জীবনেও সুখে থাকা যায়। জানতে চান কীভাবে? চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক সুখী দাম্পত্য জীবনের গোপন রহস্য।
১. একটু ছাড় দুপক্ষ থেকেই
দুজনকেই কোনো কোনো ক্ষেত্রে একেবারে ১০০% ছাড় দিতে হবে বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। কোনো একটি ব্যাপারে দুজনেই যদি নিজের মতামত থেকে একটু সরে এসে ৫০% করেও ছাড় দিয়ে একটি নির্দিষ্ট দুজনের মতের মাঝামাঝিতে নিয়ে কাজটি করতে পারেন তাহলেই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। ঝগড়া তো দূরের কথা সামান্ন মনোমালিন্যও হয় না। সুখে থাকেন দুজনেই।
২. একে অপরকে পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবা
আপনি নিজেই বলুন যদি কেউ আপনার কানের কাছে সবসময় বলতে থাকে ‘তোমার জন্য আপনার জীবন ধ্বংস হয়েছে, আমার জীবনের দুর্ভাগ্য তুমি’ তাহলে কেমন লাগতে পারে। অবশ্যই খুব খারাপ। বিষয়টি সেরকমই। দুজন মানুষ যখন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তখন ভাবা উচিত তাদের ভাগ্যে ছিল বলেই দুজঙ্কে পেয়েছেন। আর নিজের ভাগ্যকে খারাপ বলে নিজেকেই নিচু করার মধ্যে বীরত্বনেই। বরং নিজেকে ভাগ্যবান ভাবা উচিত যে সৃষ্টিকর্তা তার জন্য কাউকে পাঠিয়েছেন।
৩. একসাথে সময় কাটানো
জীবনে কাজ করার বহু সময় পাবেন। ভবিষ্যতের কথা ভেবে যে বর্তমানে নিজেকে কাজে ডুবিয়ে সঙ্গীর কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছেন তার ভবিষ্যৎ কি তা একবার ভেবে দেখেছেন? বিয়ের পর যে সময়টুকু দুজন দুজনকে দেয়ার প্রয়োজন তার মাধ্যমেই সম্পর্কে মধুরতা আসে সম্পর্ক মজবুত হয়। এই সময়টুকু হেলায় পার করে দেয়ার পর দাম্পত্য জীবনে সুখ খোঁজা আপনারই ভুল।
৪. সম্পর্ক ধরে রাখতে কাজ করা
বিয়ের পর যদি মনে করেন সে তো এখন আমারই, তার প্রতি এখন আর কিছুই প্রমান করার নেই তাহলে ভুল ভাবছেন। সম্পর্ক গড়ে তোলার চাইতে টিকিয়ে রাখা কঠিন। আপনি যদি দায়সারা ভাবে সম্পর্কে নিজের দায়িত্ব পালন করেন তাহলে নিজেও সুখ পাবেন না সঙ্গীকেও সুখে রাখতে পারবেন না। সম্পর্ককে ধরে রাখতে অবশ্যই আপনাকে কাজ করতে হবে। নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে হবে।