ভারতের আসাম রাজ্যে ডাইনি সন্দেহে এক বৃদ্ধাকে শিরশ্ছেদ করে হত্যার ঘটনায় পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে। রাজ্যের শনিতপুর জেলার একটি আদিবাসী বসতিতে অসুখ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় পূর্ণি ওরাং নামে ৬৩ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার বিরুদ্ধে ডাকিনীবিদ্যা চর্চার অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসী। পরে তাঁকে নগ্ন এবং শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ১৬ জনের মধ্যে নয়জন নারী।
গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবিতে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে একদল গ্রামবাসী। কিরান তেরনপি নামের এক গ্রামবাসীর ভাষ্য, ‘পূর্ণি ওরাং ডাইনি ছিলেন। তিনি তাঁর শত্রুদের ওপর ডাকিনীবিদ্যার চর্চা করতেন। এ ধরনের ডাইনিদের জন্য কোনো মায়া নেই। তাকে হত্যা করাটা যথার্থ হয়েছে।’আসামের পুলিশ জানিয়েছে, গত ছয় বছরে ডাকিনীবিদ্যা চর্চার অভিযোগ তুলে শিরশ্ছেদ করে, জীবন্ত পুড়িয়ে অথবা ছুরিকাঘাত করে এখানকার অন্তত ৯০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এঁদের বেশির ভাগই নারী। গত বছরের অক্টোবরে আসামে ভারতীয় ক্রীড়াবিদ দেবযানী বোড়াকেও ডাইনি আখ্যায়িত করে বেদম মারধর করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব হামলার পেছনে কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস কাজ করে। তবে কখনো কখনো সম্পত্তির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ডাকিনীবিদ্যা চর্চার অভিযোগ এনে বিধবাদের হত্যা করার মতো ঘটনাও ঘটে।