প্রথম ইনিংসে ৩২৬ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ৭৮ রানে এগিয়ে স্বাগতিকরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। অতিথিদের বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো লিড নেওয়া বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে করা ২৫৯ রান।
নিজের ষোড়শ ওভারে প্রথম উইকেট পান ডেল স্টেইন। বাংলাদেশের অধিনায়ককে ফিরিয়ে দেন এই পেসার। তৃতীয় দিনে তার তৃতীয় ওভারে এলবিডব্লিউ হন মুশফিকুর রহিম। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন হাশিম আমলা। তাতে সিদ্ধান্ত পাল্টে মুশফিককে আউট দেন জুয়েল উইলসন।
সাইমন হারমারের শর্ট বলে মিডউইকেট দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে অর্ধশতকে পৌছতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান (৪৭)। তিন বল আগে একবার শট বলে টাইমিংয়ে গড়বড় করে বেঁচে যান। পরের বার আর সুযোগ পাননি তিনি, ব্যাটের কানায় লেগে উঁচুতে উঠে ক্যাচ শর্ট মিডউইকেটে তালুবন্দি করেন জেপি দুমিনি।
সাকিব উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার পর লিটন দাসের সঙ্গে জুটি বাধেন মোহাম্মদ শহীদ। ফিল্যান্ডারের বলে তুলে মারতে গিয়ে ফিরে যান তিনি। ১৯ বলে খেলা তার ২৫ রানের ইনিংসে পার হয় বাংলাদেশের তিনশ’ রানের স্কোর।
শহীদের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকনেনি লিটন। হারমারের বলে কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফিরেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। সেই ওভারেই নিজের প্রথম টেস্ট অর্ধশতকে পৌঁছেছিলেন তিনি।
ডেল স্টেইনের বলে সিøপ ও গালির মাঝখান দিয়ে খেলতে গিয়ে ডিন এলগারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তাইজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান নিয়ে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ।
বৃষ্টির কারণে বুধবার টেস্টের দ্বিতীয় দিন ২৫ ওভার খেলা কম হয়।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে মাহমুদউল্লাহ জানান, প্রথম ইনিংসে ৪০০ রানের লক্ষ্য তাদের।
এর আগে মুস্তাফিজুর রহমান ও জুবায়ের হোসেনের ভালো বোলিংয়ে ২৪৮ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেধে রাখে স্বাগতিকরা।
–