অবশেষে ৪ দিন পর আজ ধামরাইয়ের বংশী নদীর থেকে সেই ভাসমান অজ্ঞাতনামা যুবকের (৩৫) গলিত লাশটি উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এর আগে খবর পাওয়ার পরও পুলিশ দায় এড়ানোর জন্য লাশটি উদ্ধার করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া গত ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ ধামরাই হার্ডিঞ্জ স্কুল ও কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম (৩৫)কে গতকাল পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে প্রথম ধামরাইয়ের বংশী নদীতে অজ্ঞাতনামা ভাসমান লাশটি স্রোতের সঙ্গে উজান থেকে ভেসে যেতে দেখে পুলিশে খবর দেয় গ্রামবাসী। কিন্তু খবর পাওয়ার পরও পুলিশ লাশটি উদ্ধার করতে যায়নি। এরপর গত মঙ্গলবার সকালে ধামরাইয়ের দেওনাই ও সন্ধ্যায় ভালুম এলাকার বংশী নদীতে আবার লাশটি ভাসতে দেখে ধামরাই থানা পুলিশে খবর দেয়া হয়। এতেও পুলিশ লাশটি উদ্ধার করতে আসেনি। পরে গত ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা শিক্ষক শফিকুল ইসলামের (৩৫) স্বজনরা লাশ ভেসে থাকার খবর পেয়ে নদীতে ওই লাশটির কাছে যায় এবং তা শনাক্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিকৃত হয়ে যাওয়ায় ওই শিক্ষকের লাশ কি না তাও শনাক্ত করতে পারেনি স্বজনরা। এ সময় তারা লাশটি উদ্ধারের জন্য পুলিশকে আবার আজ সকালে পুলিশকে জানান তারা। পরে সকালে ধামরাই থানার এসআই শফিক লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।নিহতের এখনো কোন পরিচয় পাওয়া্ যায়নি বলে জানায় পুলিশ।
ধামরাই থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, বংশী নদীতে লাশটি ভেসে থাকার খবর পেয়ে তা উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু খুঁজে না পাওয়ার কারণে উদ্ধার করতে দেরি হয়েছে এবং নিখোঁজ শিক্ষককে খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত আছে ।