সাভারের মিটন গ্রামে কুরমান আলী (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুরমানের স্ত্রী কহিনুর বেগমকে (৩০) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কুরমান মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গোপালখালি গ্রামের নকুমুদ্দিনের ছেলে। তিনি ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে কুয়েতে চাকরি করছিলেন। মিটন গ্রামে তাঁর একটি বাড়ি আছে। বাড়িটি দেখভালের দায়িত্ব পালন করতেন প্রতিবেশী ইউনুস আলী। এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে কহিনুর বেগম ওই বাড়িতেই থাকতেন।
পুলিশ জানায়, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে আজ বৃহসপতিবার ভোরে কুরমানের বাড়িতে যায় পুলিশ। এরপর বাড়ির একটি কক্ষ থেকে কুরমানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। লাশের মাথা ও মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। নিহত ব্যক্তির ভাতিজা মিন্টু হোসেন জানান, প্রায় তিন বছর আগে তাঁর চাচা কুরমান আলী একবার দেশে ফিরে ইউনুসের সঙ্গে তার চাচির অনৈতিক সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এরপর থেকে চাচা ও চাচির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। ১৫ দিন আগে চাচা আবার দেশে ফেরেন। তবে তাঁদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। নিহত কুরমান আলীর মামাতো ভাই পান্নু শেখ বলেন, গতকাল গ্রামের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল কুরমানের। এ জন্য মঙ্গলবার ব্যাংক থেকে কয়েক লাখ টাকাও তোলেন তিনি। ওই টাকা আর পরকীয়ার জের ধরেই ইউনুসের সহায়তায় তাঁর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কুরমানের বড় ভাই বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় নিহতের স্ত্রী কহিনুর ও কেয়ারটেকার ইউনুসকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে কহিনুর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমাদের বাসায় কয়েকজন মেহমান আসেন। তাঁদের নিয়ে আমার স্বামী একটি কক্ষে তাস খেলছিলেন। আমি মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত তিনটার দিকে ঘুম থেকে উঠে ওই কক্ষে আমার স্বামীর লাশ পড়ে থাকতে দেখি। তখন ওই কক্ষের দরজা খোলা ছিল।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আজীম বলেন, পরকীয়ার জের ধরে কুরমান খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।