নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে নদী উত্তাল থাকায় দেশের বেশিরভাগ নৌ-পথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সদরঘাট নৌ-বন্দর, মাওয়া-চরজানাজাত, কাওরাকান্দি,পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-পথসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বেশীর নৌ-পথে রোববার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়া অনুকূলে না আসা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। সন্ধ্যা ৭টায় বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র রোববার জানিয়েছে, সুরমা, কুশিয়ারা, কপোতাক্ষ, হালদা, সাংগু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এবং নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে।
অপরদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি দ্রুত ঘনীভূত হয়ে মৌসুমী নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক জয়নাল আবেদীন জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সন্ধ্যার পর থেকে সদরঘাট নৌ-টার্মিনাল থেকে লঞ্চ চলাচল করেনি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অনুকূলে না আসা পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌ যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের সহকারী পোর্ট অফিসার সাজ্জাদুর রহমান জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ঝড়ো হাওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র মাওয়া ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বিকেল থেকেই নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, রোববার সন্ধ্যা ৬টায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান করছিল। তবে নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।
তাই উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের অনুরোধ জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়া অতি ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।