ব্রেকিং নিউজ!!!! ব্রেকিং নিউজ!!! ব্রেকিং নিউজ!!!
স্বদেশ নিউজ ২৪.কম: আসছে ঘূর্ণিঝড় কোমেন, উপকূলে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত!!!
কক্সবাজারে ৭ নম্বর সংকেত জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে কক্সবাজারে জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জেলা আবহাওয়া অফিস। বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় জেলায় ৭ নম্বর সংকেত জারি করা হয়। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপের কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। চার নম্বর হুঁশিয়ারি সতর্ক সংকেত মানে হল, বন্দর ঘূর্ণিঝড়কবলিত। বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটার। সতর্ক সংকেতে আরও বলা হয়, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুর প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। গভীর নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রমের সময় এ জেলাগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। অতি ভারি বর্ষণের প্রভাবে চট্রগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা প্রকাশ করে আবহাওয়া বিভাগ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা, ট্রলার ও সমুদ্রগামী জাহাজকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে। নিম্নচাপের প্রভাব গত কয়েকদিন ধরেই সারাদেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভারি বৃষ্টিতে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে পাহাড় ধসের কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে বন্যা, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
কনফার্ম করে নিজের এলাকার নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। মোমবাতি, শুকনো খাবার, ওষুধ – যা দরকার যোগাড় করে রাখুন। ঘুর্নিঝড় কাল নাগাদ আঘাত হানতে পারে।