ভোলার উপকূলের ওপর দিয়ে সিডর, আইলা, রেশমী, মহাসেনসহ বিভিন্ন ঝড় বয়ে গেলেও উপকূলবাসীর জন্য আজো নির্মিত হয়নি পর্যাপ্তসংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র।
এতে দুর্যোগের সময় চরম অনিরাপদ হয়ে ওঠে জেলার ২ লাখের বেশি মানুষের জীবন। ফলে আশ্রয়কেন্দ্র যথেষ্ট না থাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ আতঙ্কে নির্ঘূম রাত কাটাচ্ছেন উপকূলের অনেক মানুষজন।
বুধবার (২৯ জুলাই) রাতে চট্টগ্রামসহ ভোলায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত সংকেত জারি করায় জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্ক দেখা দেয় উপকূলবাসীর মধ্যে। কিন্তু আশ্রয় নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় অনেকেই নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পারেনি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্ধার কর্মীরা কাজ করলেও উপকূলের বিশাল এ জনগোষ্ঠীর জন্য রয়েছে মাত্র ৬৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৫২টি মাটির কেল্লা।
এদিকে, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। মাইকিং করা হয়েছে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায়।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ আলী জানান, ঝড় মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। উপজেলা সদরের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চরাবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে, রাত থেকেই নদী ও সাগরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩/৪ফুট উচ্চতায় আছড়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন তীরবর্তী বাসিন্দারা। এতে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে।