ধামরাইয়ে বানর গুলোর দুষ্টামি আর মুখ ভেংচির সাথে এলাকার সব শ্রেণ মানুষের কম বেশি পরিচিত।ধামরাই বাসি এই বানর গুলোর বাদরামিকে বেশ প্রশ্রয়ও দিয়ে থাকে। আর সেই ৪০০শ বছরের ঐতিহ্য বহনকারী বানর গুলো আজ ক্ষুধার যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে মারা যাচ্ছে একের পর এক। বিলুপ্তির পথে জীববৈচিত্রের এই প্রাণী গুলো।ক্ষুধার যন্ত্রনা সইতে নাপেরে এরা দলবেঁধে হানাদিচ্ছে মানষের বাসায়। তবে এরা মানুষের কোন ক্ষতি করেনা।বানর গুলো প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন অফিসের গেটে ধরনা দিচ্ছে খাবারের জন্য। কানণ উপজেলায় আগত মানুষেরা এই বানর গুলোকে ভালোবেসে কিছু খেতে দেয় সেই আশায়। খুব বেশি ক্ষুধার যন্ত্রনায় পরলেই ধামরাই উপজেলার বাসভবন ও অফিস ঘিরে রাখে এসব বানর গুলো। দেখে যেন মনে হয় জীবণ আর জাতী বাঁচাতে এরা দলবেঁধে আন্দোলনে নেমেছে। সামান্য খাবার পেলে আবার ফিরে যায় দলবেঁধে। ধামরাইয়ের ৪০০ বছরের ঐতিহ্য এই প্রাণীগুলোরর ১৬০৪ সনে এদের আবির্ভাব ঘটেছে বলে জানা যায়। বানরের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত ঢাকার ঐতিহ্যসমৃদ্ধ জনপদ ধামরাই। নগরীরর মানব কুলের সাথে মিশে থাকা বানরগুলোর দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। এখানকার প্রায় সহস্রাধিক বানর ক্ষুধার যন্ত্রণায় দিনাতিপাত করছে। ক্ষুধার জ্বালায় গাছের মগডালে কিংবা মাটিতে নেমে এসে বানরগুলো চিৎকার- চেচামেচি করছে। আর দর্শনার্থীদের হাতে খাবার দেখলেই দল বেঁধে খাবারের জন্য লাফালাফি শুরু করে দিচ্ছে। এদের পাকৃতিক মহিমার উজ্জীবিত দৃশ্যগুলো দেখে আনন্দিত হলেও মূলত যেন এদের দেখার কেউ নেই। দুরন্ত ধামরাইয়ের শিল্পকলায় ও বানর দেখতে নানা জায়গা থেকে মাঝে মাঝে দর্শনার্থীরা আসেন।তারা হাতে করে মুড়ি, পাউরুটি, বিস্কুট ও বাদাম নিয়ে আসেন বানরগুলোর জন্য। তবে বানরের সংখ্যার তুলনায় দর্শনার্থীদের নিয়ে আসা খাদ্য পর্যাপ্ত নয়। দর্শনার্থীদের সহানুভূতিতে বানরগুলো পঙ্গপালের মতো এমনভাবে ছুটে আসছে, যেন অনেক দিনের চেনা। এছাড়া এখানকার স্থানীয় বাজারের বিক্রেতাদের থেকে কাঁচা সবজি খেয়ে কোনরকম দিন পাড়ি দিচ্ছে। প্রকৃতির অনন্য সম্পদ এসব বানর। এখানকার প্রায় সহাস্রাধিক বানর চরম খাদ্য সঙ্কটে দিনাতিপাত করছে। ক্ষুধার যন্ত্রনায় বানরগুলো কখনো সরবে আবার কখনো নীরবে কেঁদে ওঠে। ক্ষুধার জালায় বানরগুলো জোরে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। ক্ষুধার্ত বানরগুলো খাবারের জন্য রীতিমতো সন্ধান চালাচ্ছে। প্রতি বছরই বানরের সংখ্যা বাড়ছে।বাচ্চা প্রসবের মাধ্যমে বছরে ১০০ থেকে ১২০টি বানর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এ সব বানরের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করার যেন কেউ নেই।ধামরাই বাসির অনুরোধ সরকার যেন এগিয়ে আসে এই ঐতিহ্যবাহী প্রাণিগুলোর প্রাণ বাঁচাতে । এপ্রাণী গুলো সুধু ধামরাইয়ে ঐতিহ্য বহন করছে তা নয় এরাতো রাষ্টীয় ঐতিহ্য বহনকরছে তাহলে রাষ্ট বা রাষ্টের সরকার কেন তাদের প্রাণ বাচাঁতে এগিয়ে আসবেনা এমন টাই প্রশ্ন অভিজ্ঞ মহলের ।