পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গৃহহীন ৩০ রাখাইন পরিবারের মাথা গোজার ঠাঁই মিলেছে। বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডিএমপি’র অর্থায়নে এক কোটি তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের গোড়াআমখোলা পাড়ার গৃহহীন রাখাইনদের টং ঘর নির্মাণ করা হয়। সোমবার বিকেলে ওইসব পরিবারগুলোর মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে টং ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, রাখাইন সম্প্রদায়ের জীবন জীবিকার মানন্নোয়নে জেলা প্রশাসক বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিডিএমপি’র কাছ থেকে এক কোটি তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ নেয়। এ অর্থ দিয়ে ৩০ রাখাইন পরিবারের জন্য টং ঘর, স্যানিটারি লেট্রিন, প্রকল্প এলাকায় বালু ভরাট, তিন’শ ফুট রাস্তা, ১ টি গভীর নলকূপসহ বৌদ্ধ বিহারের মাটি ভরাট কাজ সম্পন্ন করা হয়। এছাড়া অসচ্ছল ওইসব পরিবার গুলে কে সচ্ছল করার লক্ষে ১৭টি গরু, ৪টি তাঁত, ৯ জনকে ক্ষুদ্র ব্যবসায় নগদ ২০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে টং ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক অমিতাভ সরকার, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মেতালেব তালুকদার, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) দীপক কুমার রায়, সিডিএমপি’র প্রকল্প সহায়তাকারী শাহ জাহিদুর রহমান, উত্তরণের সমন্বয়কারী ফাতিমা হালিমা আহম্মেদ। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পটুয়াখালী জেলা রাখাইন বুড্ডিষ্ট ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি বাবু উথাচিন তালুকদার, গোড়াআমখোলা রাখাইন কমিউনিটি সভাপতি বাবু চোথেন প্রমূখ। হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে রাখাইন শিল্পীদের অংশগ্রহনে এক মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।