সুবল চন্দ্র দাস, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) ঃ কিশোরগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণীর এক শিশু ছাত্রীকে অপহরণ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ পৌঁছাতে বলেছে অপহরণকারী দল। অথচ এমন চরম সংকটময় মুহূর্তে মামলা নিতে দুই র্যাব ক্যাম্প ও দুই থানায় চলছে রশি টানাটানি। অপহৃত মীম আক্তার (১১) কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চর আলগী গ্রামের মেয়ে। কিন্তু ঘটনাস্থল ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারে দত্তের বাজার। ঘটনাস্থল ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার অধীন বলে মামলা নিচ্ছে না কোনো থানা পুলিশ। পাগলা থানা পুলিশ বলছে, মামলা হবে পাকুন্দিয়া থানায়। আর পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ বলছে, মামলা হবে পাগলা থানায়। অপহরণের মতো স্পর্শকাতর ঘটনা সত্ত্বেও দুই থানা পুলিশের এ ধরনের ভূমিকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে অপহৃত মীমের পরিবার। নিরুপায় হয়ে মীমের বাবা দরিদ্র কৃষক কাজল মিয়া ভৈরব র্যাব ক্যাম্পে গিয়ে এ ঘটনা জানান। এখানের কর্মকর্তারা ময়মনসিংহ র্যাব ক্যাম্পে গিয়ে ঘটনা জানানোর পরামর্শ দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাজল মিয়া ময়মনসিংহ র্যাব ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন। তার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার সময় ময়মনসিংহ র্যাব ক্যাম্পের এএসআই আলমগীর পরিচয়ে এক ব্যক্তি তার কাছ থেকে সেলফোনটি নিজের হাতে নেন। তিনি জানান, ক্যাম্পের অধিনায়ক স্টেশনে না থাকায় এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না। পাকুন্দিয়া উপজেলার চর আলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মীম সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশের ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারে দত্তের বাজারে দুধ বিক্রি করতে গিয়ে অপহৃত হয়। সে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে ০১৭২৮০৫৯৬১০ নাম্বার সেলফোন থেকে তার পিতা কাজল মিয়াকে ফোন করা হয়। এতে জানায় তোমার মেয়েকে আমরা অপহরণ করেছি। তাকে জীবিত পেতে হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। এ ফোন পাওয়ার পর মেয়ের জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন কাজল মিয়া।