ওয়ার্ল্ডফিশ-এর এএসএস প্রোগ্রাম এবং ইউএসএআইডি এআইএন প্রকল্পের সহায়তায় আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানী গ্রামের ১২ জন নারী মাছ চাষী ২০১৩-১৪ সাল থেকে তাদের বসত বাড়ীর ছোট ছায়াযুক্ত পুকুরে মাছ চাষ বিষয়ক অংশগ্রহনমূলক গবেষণা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪-১৫ সালে তারা তিনটি দলে ভাগ হয়ে পাঙ্গাসের সাথে কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ; কই মাছের সাথে কার্পজাতীয় ও মলা মাছের মিশ্র চাষ এবং তেলাপিয়ার সাথে শিং-মাগুর ও কার্পজাতীয় মাছের মিশ্র চাষ নিয়ে অংশগ্রহনমূলক গবেষণা করেন। গতকাল ৬ আগষ্ট, বৃহ¯পতিবার উক্ত মাছ চাষী দলের আয়োজনে খেকুয়ানী গ্রামের এলিচ বেগমের বাড়ীতে ছায়াযুক্ত পুকুরে মাছ চাষ বিষয়ক গবেষণার ফলাফল মূল্যায়ন এবং শিখন জ্ঞান বিনিময় অনুষ্ঠান করা হয়। এ অনুষ্ঠানে উক্ত ১২ জন মাছ চাষী তাদের গ্রামের ছায়াযুক্ত পুকুর আছে এমন আরও ২৭ জন চাষী সহ তাদের গবেষণার ফলাফল মূল্যায়ন এবং তাদের গবেষণালব্ধ শিখন জ্ঞান বিনিময় করেন। কৃষক গবেষকদের মধ্যে এলিচ বেগম , রাহিমা বেগম ও খাদিজা বেগম তিনটি গ্র“প থেকে তাদের গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন। ওয়ার্ল্ডফিশ এর এআইএন প্রকল্পের টেকনিক্যাল ¯েপশালিষ্ট বাবু অচিন্ত্য কুমার সরকার এবং এএএস প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অফিসার জনাব মোঃ মেজবাহ্ উদ্দিন উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও ওয়ার্ল্ডফিশের পার্টনার অর্গানাইজেশন সুশীলন এর প্রোগ্রাম অফিসার তপু কর্মকার এবং কোডেক এর এফএস জেসমিন ও ইএফ জিল্লুর রহমান উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কৃষক গবেষকদের অনুষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য সার্বিক সহায়তা করেন।
আব্দুল্লাহ আল নোমান
আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা