সাফল অধিনায়ক হিসেবে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির চেয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজাকেই এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার সৌম্য সরকার। ক্রিকেট কাউন্ট্রিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এমনটা জানান তিনি।
নেতা হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলিকে অবশ্যই আলাদাভাবে মনে রাখবে ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাস। যেমন নিজের সেরাটা দিয়ে পারফর্ম করতেন, একইভাবে দলের সবাইকে একসঙ্গে করে রাখতেন। এই গুণটা রয়েছেন এপারের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজারও।
তারপরেও কিংবদন্তি সৌরভের চেয়ে মাশরাফিকে এগিয়ে রাখছেন সৌম্য। তার মতে, অনেক কিছুই কম পেয়েছেন মুর্তজা। তারপরেও এগিয়ে তার অধিনায়ক।
বললেন, ‘এই দুজনকে(সৌরভ ও মাশরাফি) তুলনা করার আমি কেউ না। নেতা হিসেবে দুজনেই নিজেদেরকে প্রমাণ করেছে।’
তারপরেই বলেন, ‘সৌরভদার সময়ে তার দলে শচিন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড় এবং ভিভিএস লক্ষণের মতো গ্রেট ক্রিকেটার ছিলেন। তাই তার কাজটাও অনেক সহজ ছিলো, কিন্তু মাশরাফির একটি দল রয়েছে। যে দলে তরুণ ও অভিজ্ঞদের মিশ্রণে সমন্বয় ঘটেছে। এমন একটা দলকে পরিচালনা করে ধারাবাহিক ইতিবাচক ফলাফল বের করে আনা সহজ কাজ নয়।’
মানুষ হিসেবেও পুরো জাতীয় দলে সবার শ্রদ্ধার পাত্র মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিজে দলে না থাকেলেও অন্যান্য ক্রিকেটারদের নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া এবং দলের বাইরে থাকা অন্যান্য সদস্যদের খোঁজ নেওয়ার ব্যাপারে বেশ সিরিয়াস মাশরাফি। বিশ্বকাপের পর সৌম্য সরকারই বলেছিলেন, ‘আমি ইনজুরির কারণে মাঠে নামতে চাচ্ছিলাম না। বাড়িতে ফোন দিয়ে কথা বলার সময় বাবা-মা যখন বললেন মাশরাফি এতোগুলো অস্ত্রোপচারের পরেও খেলছেন, আমি কেন এটুকুতেই ভয় পাচ্ছি। এ কথা শুনে আমি মাঠে নামি।’
সৌম্যের কথা বাদ দিলেও পরিসংখ্যানের দিক থেকেও এগিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা। একমাত্র টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে তুলে নিয়েছেন জয়। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেও সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২৫টি ওয়ানডে ম্যাচে তিনি জয় এনে দিয়েছেন ১৭টিতে। টি-টোয়েন্টিতে তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ দল খেলেছে পাচটি ম্যাচ যেখানেও একটি জয় রয়েছে।
ম্যাচের দিক থেকে অবশ্য অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। ৪৯ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জয় পেয়েছেন ২১টিতে। শতকরা হার ৪২.৮৫; ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৪৬টি ম্যাচে তার নেতৃত্বে ভারত জয় পেয়েছে ২১ ম্যাচে ও হার ১৩ ম্যাচে। জয়ের হার ৫৩.৯০।