পুতিনের ব্যতিক্রমী প্রতিকৃতি গড়ে দুনিয়াজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন ইউক্রেনের এক শিল্পী। এতে ব্যবহার করা হয়েছে পাঁচ হাজার গুলির খোসা। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এলাকা বলে পরিচিত পূর্বাঞ্চল থেকে তিনি এসব খোসা জোগাড় করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, দরিয়া মারচেঙ্কো নামের এই শিল্পী পুতিনের ওই প্রতিকৃতির নাম দিয়েছেন ‘যুদ্ধের মুখ’। প্রতিকৃতিতে কালো কোট ও লাই টাই পরা পুতিনের ছবিটি বাস্তবতা ও রাজনীতির নিরিখে বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। প্রায় সাত ফুট উচ্চতার এই শিল্পকর্মটি দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজর কেড়েছেন ৩৩ বছর বয়সী শিল্পী দরিয়া। নিজের স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টে শিল্পকর্মটি তৈরি করার সময়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একই ঘরে ঘুমানোটা প্রথম দিকে একটু ভয়ের ছিল। পরে অবশ্য এটাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি।’
নিজের শিল্পকর্ম সম্পর্কে দরিয়া মজা করে বললেন, ‘প্রতিকৃতিটি দেখে পুতিন গর্বিত, দ্বিধান্বিত বা গম্ভীর হয়ে যেতে পারেন। তাঁকে দেখতে সোভিয়েত ইউনিয়নের পোস্টারের মতো কেউ কিংবা সুপারম্যানও মনে হতে পারে।’ শিল্পকর্মের জন্য গুলির প্রথম খোসাটা দরিয়াকে দিয়েছিলেন তাঁর বন্ধু। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভিকতর ইয়ানোকোভিচকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনের একজন কর্মী ছিলেন ওই বন্ধু। পরে অবশ্য শিল্পীর বন্ধুরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তাঁকে গুলির খোসা এনে দেন শিল্পকর্মটির জন্য।
প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে এমন শিল্পকর্ম তৈরির বিষয়ে শিল্পীর কথা, ‘গুলির খোসা অবরুদ্ধ জীবনের প্রতীক।’ তিনি শুধু সেই সত্যটিই তাঁর শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছেন। এই শিল্পী বলেন, ‘আমি চাই তিনি (পুতিন) আমার শিল্পকর্মটি দেখুন। এতে যদি নতুন করে নিজের ভূমিকা সম্পর্কে তাঁর বোধোদয় হয় তো ভালো।’