দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা-অবহেলায় পলাশবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী কালিবাড়ী হাটে জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিস্কাশনের জন্য হাটজুড়ে তৈরী সকল ড্রেনের উপর স্থায়ী স্থাপনা-দোকান ঘর তৈরীর ফলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁদা-জলে ছেয়ে যায়। কোথাও বা জমে যায় হাটু জল।
বুধবার সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, হাটের প্রবেশ মুখ গুলোতে দু’পাশের ড্রেনের স্লাবের উপর দিয়ে সাড়ি-সাড়ি অবৈধভাবে স্থায়ী-অস্থায়ী দোকান বসানো হয়েছে। এতে করে দীর্ঘদিন ধরে পরিস্কার করা সম্ভব না হওয়ায় ড্রেন গুলো ময়লায় পূর্ণ হয়ে গেছে। হাটের ভিতরের ড্রেন গুলোর পানি বেরিয়ে যেতে না পারায় ড্রেনে ময়লা-আবর্জনায় পূর্ণ হয়ে তীব্র গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে হাটে আসা হাটুরেদের প্রত্যেককে নাকে হাত-কাপড় দিয়ে বেরিয়ে যেতে হচ্ছে। আর হাটের উত্তর পাশে হাট মসজিদের সামনে দখলদারদের কারণে ড্রেনের চিহ্নও নেই।
কালীবাড়ী হাটের মনোহরী দোকানী আব্দুস ছামাদ সাংবাদিকদের জানান, হাটে সব সময় সীমাহীন দূর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। এ কারণে দোকানে বসে থাকতে-নি:শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এ কারণে হাটুরেরা হাটের ভেতরে আসতে অনিহা প্রকাশ করেন। আর আসলেও দ্রুত চলে যায়। বেশীর ভাগ সময় তারা হাটের যে সব এলাকা তুলনামূলক পরিস্কার সেসব দোকান থেকে খরচ নিয়ে থাকেন। হাটুরে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামের রুপালী বেগম জানান, হাটের ভিতরের অংশ পার হওয়ার যেখানে সময় নাকে কাপড় গুঁজে পার হতে হয়। সেখানে খচর করার মত অবকাশ কোথায়? বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি। হাটের ব্যবসায়ীরা আক্ষেপের সূরে বলেন, কোটি টাকা ডাকের ঐতিহ্যবাহী কালিবাড়ী হাটে কোন গণশৌচাগার-নলকূপ না থাকায় ব্যবসায়ী-হাটুরের ভোগান্তি আরো চরমে উঠেছে। দীর্ঘদিনের এ অচলাবস্থা লাঘবে দখলদারদের সরিয়ে পানি নিস্কাশনের ড্রেন গুলো অবমুক্ত করে হাটের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন দোকানী-হাটুরেরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা হাট-বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম আজম ও সাধারন সম্পাদক আবু মুছা প্রধান সুমনসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বললে তারা জানান, হাট কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, উদাসিনতা ও অবহেলার কারণেই আজ এই অচলবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।