প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। বাঙালি জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন করতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমি যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছি। বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৪০ দিনব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে। অতীতে তাঁর ওপর বারবার হামলার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো চক্রান্তই তাঁকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা থেকে বিরত রাখতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি কোনো চক্রান্তকে পরোয়ানা করি না। আল্লাহ জীবন দেয়া ও নেয়ার মালিক। আমি সবসময় এটি বিশ্বাস করি এবং এর ওপর নির্ভর করি। আমি আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে কখনো মাথানত করিনি এবং করবোও না।’ এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদ, চার জাতীয় নেতা, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা, ভাই-বোন ও নিকটজনদের হারানোর পর তাঁর আর কিছু চাওয়া-পাওয়া নেই। তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে, জাতির ভাগ্য পরিবর্তন- যার জন্য আমার বাবা-মা ও ভাই-বোন জীবন দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের মাধ্যমে জাতিকে গোটা বিশ্বের সামনে কলংকিত করা হয়েছে। আমি জাতিকে আবার শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত করতে এবং দেশের সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনকের স্বপ্ন ছিলো একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতি গঠনের মাধ্যমে জনগণের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার নিশ্চয়তা বিধান করা। আমার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে সে স্বপ্ন পূরণ করা এবং সে লক্ষ্যেই আমি কাজ করে যাচ্ছি। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সামরিক একনায়ক জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি খুনীদের আশ্রয় দিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন ও দেশের আদর্শ ভূলুন্ঠিত করেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ১৯৭৫ সালের খুনীদের বিচার করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর শুরু করে বাংলাদেশকে কলংকমুক্ত করেছি।’ বাসস –