বেনাপোল(যশোর): যশোরের বেনাপোল পোর্টথানাধীন সীমান্ত এলাকা পুটখালীর বালুন্ডাতে মর্জিনা(১১) (ছদ্দ নাম) প্রইমারী স্কুলের চতুর্থ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে দোকানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে সিরাজ বিশ্বাস(৬০) নামে এক আ,লীগ কর্মী। বর্তমানে মেয়েটি স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
১৫ আগস্ট (শনিবার) দুপুরে বেনাপোলের বালুন্ডাতে এই ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। ধর্ষক সিরাজ আ,লীগ কর্মী ও তাদের পরিবার এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় হুমকিতে ধর্ষীতার অসহায় পরিবার এতদিন মুখ খুলতে সাহস পায়নি। অবেশেষে গ্রামের একটি পক্ষ পাশে এসে দাড়ালে ১৮ আগস্ট দুপুরে ধর্ষিতার মা স্থানীয় ইউপি সদস্য তবিবরের কাছে ধর্ষকের শাস্তি চেয়ে বিচার দেয়।
অভিযুক্ত ধর্ষক সিরাজ বিশ্বাস পুটখালীর বালুন্ডা গ্রামের সামসুর বিশ্বাসের ছেলে। ধর্ষীতার পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ১৫ আগস্ট ভোরে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোরআন শরীপ পড়তে যাচ্ছিল। এসময় মেয়েটিকে রাস্তায় একা পেয়ে আ,লীগ কর্মী ধর্ষক সিরাজ বালুন্ডা বাজারে অবস্থিত তার মুর্দি দোকানে ধরে নিয়ে যায়। পরে দোকানের সাটার আটকিয়ে মুখ চেঁপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোক ছুটে আসলে সে শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শার্শার বাঁগআচড়া বাজারে অবস্থিত একটি ক্লিনিকে ভর্তী করে দেয়। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে চাইলে ধর্ষকের প্রভাবশালী স্বজনদের হুমকিতে অসহায় মা বিচার চাইতে পারেনি। অবশেষে এ ঘটনায় মর্মহত কিছু মানুষ তার পাশে এসে দাড়ালে সে স্থানীয় জন প্রতিনিধি ইউপি সদস্য তবিবরকে ঘটনা খুলে বলে বিচার দাবী করেন। এ ব্যাপারে পুটখালী ইউনিয়নের বালুন্ডা গ্রামের ইউপি সদস্য তবিবর ধর্ষনের সত্যতা স্বিকার করে বলেন, ঘটনার পর থেকে ওই অভিযুক্ত (ধর্ষক) সিরাজ এলাকা ছাড়া রয়েছে। মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। শালিসের জন্য ধর্ষক সিরাজের আপন ভাই বালুন্ডা বাজার কমিটির সভাপতি মন্টু বিশ্বাসকে জানানো হয়েছে। তিনি সময় চেয়েছেন। আগামী ২১ আগস্ট গ্রাম্য শালিসের দিন ধার্য করা হয়েছে। মেয়ের পরিবারটি অসহায় হওয়ায় তারা সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে সংসয় রয়েছে বলে জানান তিনি। স্থাণীয় ইউপি সদস্য কহিনুর বেগম বলেন, শিশুটির বাড়ি তিনি গিয়েছিলেন, মঙ্গলবার সকালে তাকে চিকিৎসার জন্য যশোরে নেওয়া হয়েছিল। তার মার মুখে তিনি বলতে শুনেছেন মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে।