ক্রাইম ডেস্ক, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: সৈয়দ আলীফ মেহেদী,ডাক নাম (রনি),পিতা :সৈয়দ রবিউল ইসলাম,মাতা :মাসুমা বেগম স্থায়ী ঠিকানা (গ্রাম:- আইচগাতী, ডাকঘর:-বেলফুলিয়া , থানা:- রুপসা , জেলা:- খুলনা) আলীফ মেহেদী রনি ঢাকার কাওরান বাজারের একজন মাছ বিক্রেতা । সে পরবর্তীতে ঢাকার বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে গুলসান বাটনরোজ, মুঘোল কিচেন, প্রান আর.এফ.এলকোম্পানীর ক্যান্টিন,ঘোড়াশাল ফ্যাক্টরী,মিরপর পূর্নীমা রেস্টুরেন্ট এ মাছ দেওয়া শুরু করে এই ব্যবসায়ের সূত্র ধরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে লাভজনক ব্যবসায় এর প্ররোচনা দেখিয়ে অংশীদারী ব্যবসায় এর চুক্তি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।তার মধ্যে কাওরান বাজার এর মৎস ব্যবসায়ী হাজী ইসমাইল (বাসা-কামরাঙ্গির চর)এর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা,মো:মোসলেম(বাসা-কামরাঙ্গির চর) এর কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা,মো: মুনসুর মিঞার কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা, খুলনার এডভোকেট এনায়েত উকিলের পূত্র জনি এর কাজ থেকে ৯ লক্ষ টাকা, রনির চাচা শশুর বাড়ি গ্রাম-মনোহরপূর,জেলা-ঝিনাইদাহ,থানা-কালীগঞ্জ,মো: আব্দুল মজিদের কাছ থেকে ব্যবসায় এর অংশীদার করে ২ লক্ষ টাকা। এভাবে সে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রথম দুই মাস লাভ দেখিয়ে লাভের টাকা দিয়ে আরোও মূলধন বাড়ানোর জন্য উৎসাহ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। দুই-তিন মাস যাবার পর সে আর যোগাযোগ করে না। বিভিন্ন ব্যাংকের চেক প্রদান করে দুই/তিন মাস পরের তারিখ দিয়ে অংশীদারদের থামিয়ে রাখে এরপর শুরু হয় অংশীদারদের লাভ বাদ দিয়ে মূল টাকা উঠানোর জোর চেষ্টা।
বর্তমান সময়ে সে তার ৩য় নম্বর শ্বশুর মোঃ আব্দুল কাসেম (মিরপুর কালসি স্কুলের সভাপতি এবং বি.এন.পি এর একজন স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা) ঠিকানা :-বাড়ি-২৯/৩০,রোড:-০৫ ,ব্লক:-০২, সেকশন:-১২,মিরপুর পল্লবী, ঢাকা-১২১৬ তার শেল্টারে আশ্রয় নেয়। কেউ টাকার জন্য চাপ দিলে তার শশুর তাকে ভয়ভীতি দেখায়।ভয়ভীতি বাদ দিয়ে কাওরানবাজার মৎস ব্যবসায়ী হাজী ইসমাইল থানায় সৈয়দ আলীফ মেহেদী (রনির) নামে একটা মামলা করে। তারপর রনির শশুর আবুল কাসেম ১০ দিন পর রনিকে ৭০ হাজার টাকা খরচ করে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনে এবং মামলা করার জন্য বাদীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং সে মামলা চলাকালীন সময়ে ২০ দিনের মাথায় মৃত্যুবরন করেন। আর এভাবেই চলতে থাকে সৈয়দ আলিফ মেহেদী রনির সাধারন লোকজনকে ব্যবসায়ের প্ররোচনা দেখিয়ে প্রতারনার চক্রান্ত ।