এক দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ টাকায়। এক কেজি পেঁয়াজে ২৪ ঘণ্টায় বিশ টাকা দাম বাড়লেও স্থানভেদে পার্থক্য দেখা গেছে। এদিকে হঠাৎ দাম বাড়ায় খুচরা বাজার ও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দামেও অসামঞ্জস্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্থানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা দরে। রাজধানীর ধানমন্ডি-আসাদগেট এলাকায় ৮৫ টাকা, ঝিগাতলায় ৭৫-৮০ টাকা, কারওয়ান বাজারে ৭৫ টাকা দরে খুচরা মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। শনিবার এসব এলাকার বিক্রেতারা ৬৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন।
এদিকে রোববার সকাল থেকেই কারওয়ান বাজারে পাইকারিভাগে ৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে খুচরা বাজার ও পাইকারি বাজারের পেঁয়াজের মূল্যে অসামঞ্জস্যতার সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় পেঁয়াজের মূল্যেও পার্থক্য দেখা গেছে। নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুর রফিকুল ইসলাম ফেসবুকে একটি পোস্টে জানান, স্থানীয় বাজারে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।
পাইকারি ও খুচরা মূল্যের এ অসামাঞ্জস্যতা সম্পর্কে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মজনু প্রিয়.কম-কে বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) আমরা ৬২ থেকে ৬৩ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করলেও আজ সে মূল্য প্রায় ১৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অসামাঞ্জস্যতা সৃষ্টির কারণ হচ্ছে গতকাল যারা ৬২ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছেন তারা আজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে পারছেন।’
এমন কথা বলছেন খুচরা বিক্রেতারাও। তারা জানান, দাম বেড়ে গেলেও আগে কম দামে পাইকারি মূল্যে পেঁয়াজ ক্রয় করেছিলেন। ফলে এখনও তারা কম দামে বিক্রি করতে পারছেন। তবে অনেকেই দাম বাড়িয়ে ৮৫ টাকায় বিক্রি করছেন।
মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে রাজধানীর শ্যাম বাজারের রতন শাহা দুষলেন ভারতে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিকে। তবে এ অবস্থায় তারা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে ঘাটতি কমানোর চেষ্টা করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আমদানি করলে তা নৌপথে আমদানি করতে হয় যা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই মিয়ানমার থেকে আমদানি করতে চান না।’ পেঁয়াজের দাম আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের দাম কয়েক দফা বৃদ্ধি পেয়ে কেজি প্রতি ৮০ রুপিতে দাঁড়িয়েছে। আর সেই প্রভাবে প্রতিদিনই দেশের বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।