সুবল চন্দ্র দাস, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) ঃ কটিয়াদীতে এক দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদের জামাইসহ চারজনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেছেন। গতকাল পুলিশ শ্বশুর ও ননদের জামাইকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জানা যায়, গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন দুবাইয়ে কর্মরত জাহাঙ্গীর আলমকে তার স্ত্রী রোজিনা বড় ভাই মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে চার-পাঁচ দুর্বৃত্ত অপহরণ করে আবুধাবি শহরে নিয়ে নির্যাতন করে। বিষয়টি জাহাঙ্গীরের বন্ধুরা দুবাইয়ের মালিককে জানান। মালিক পুলিশকে অবহিত করলে দুবাই পুলিশ মকবুল হোসেন, সফিকুল ইসলাম ও খাইরুলকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য কটিয়াদী এলাকায় একাধিকবার সালিশ হলেও আপস না হওয়ায় রোজিনা পিটিয়ে আহত করার কথা উল্লেখ করে শুক্রবার কটিয়াদী থানায় চারজনকে আসামি করে নারী নির্যাতনের ওই মামলা করেন। পুলিশ শ্বশুর মুরশিদ ও ননদের জামাই বাবুলকে গ্রেফতার করে। জাহাঙ্গীরের চাচা মতিউর রহমান বলেন, জাহাঙ্গীর ও মকবুল হোসেন মিলে আড়াই লাখ টাকা দিয়ে একটি পুকুর লিজ নেয়। লিজের দলিলটি জাহাঙ্গীরের বাড়িতে ছিল। এ নিয়ে বিরোধ হলে জাহাঙ্গীরকে মকবুল দুবাইয়ে অপহরণ করে নির্যাতন করে। জাহাঙ্গীরের বাবা মুরশিদ বিষয়টি মীমাংসা না করায় তাদের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। অন্যদিকে মামলার বাদী রোজিনা আক্তারের বাবা আবু হানিফ বলেছেন, শ্বশুর-শাশুড়ি তার মেয়েকে পিটিয়ে আহত করেছে। কটিয়াদী থানার ওসি আবদুছ ছালাম বলেন, নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের বাড়ি কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নে। মকবুল হোসেনের বাড়ি পাকুন্দিয়া উপজেলার মাসিমপুর গ্রামে। তারা উভয়েই দুবাইয়ে কর্মরত।