বেনাপোল(যশোর), সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক কাস্টম হাউজে দুই কাস্টমস ইনেসপেক্টর কর্তৃক পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানি এখন দিন দিন বেড়েই চলেছে। নিয়মের কোন তোয়াক্কা না করে এ ধরনের হয়রানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা।
জানা যায়, কাস্টমসের ঘোষণা অনুযায়ী একজন পাসপোর্ট যাত্রী ভারত থেকে ফেরার সময় ৪শ ডলার মুল্যে বিভিন্ন প্রকারের পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। কিন্তু কাস্টমস কর্মকর্তারা নিজেদের করা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না রেখে কোন প্রতিনিয়ত এই হয়নানি ও ঘুস বাণিজ্যে মেতেছেন। আর এই ঘুসের টাকা জমা থাকে কাস্টমস সিপাই বিপ্লবের কাছে। সন্ধ্যায় কাস্টমসের গোপন রুমে বসে এই টাকা ভাগ বাটোয়ারা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময় যাত্রীরা কাস্টমসের উদ্বর্তন কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ জানালেও এর কোন প্রতিকার নেই।
অভিযোগে জানা যায়, ২৪ আগস্ট সোমবার বিকালে চিকিৎসা শেষে ভারত থেকে ফিওে আসেন কিশোরগঞ্জের লতিফপুর গ্রামের হাফিজুদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলামসহ তার দুই বন্ধু। পাসপোর্ট নাম্বার (বিএ ০০০ ১৩০১)। এসময় তার সাথে পরিবারের জন্য উর্ধ্বে হলে ১০ হাজার টাকার জামা,কাপড় ও কসমেটিক কেনা-কাটা ছিল। এসব কেনা-কাটার জন্য কাস্টমস ইনেসপেক্টর অমল ও আযাদ ৩ হাজার টাকা ঘুস দাবী করেন। এসময় সে ঘুস দিতে অস্বিকার করলে মালামাল সিজার করে দেওয়ার ভয় দেখান। অবশেষে পরিবারের জন্য শখের কেনা-কাটা বাঁচাতে বাধ্য হয়ে তিনি ২ হাজার টাকা ঘুস দিয়ে রক্ষা পায়। প্রতিদিন এভাবে পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে হয়রানী ও ঘুস বাণিজ্যের উৎসবে মেতেছেন এই দুই কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমস সুপার মাজহারুল ইসলাম বলেন, হয়রানি ও ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন। অভিযুক্ত প্রমান হলে ওই কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।