সুবল চন্দ্র দাস, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ), সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: কিশোরগঞ্জে এক কুখ্যাত রাজাকারের কবরকে মাজার বানিয়ে কতিপয় নেশাখোর গাঁজার আড্ডা বসিয়েছে বলে অভিযোগ গেছে। দিনরাত উচ্চ শব্দে নাচ-গান আর অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে এলাকার যুব সমাজ বিপথগামী হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বিঘিœত হচ্ছে। এলাকার লোকজন রাতে ঘুমোতেও পারেন না। একজন চিহ্নিত রাকাজারের কবরকে মাজার বানিয়ে মাদকের আড্ডা বসানোয় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ নিয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। গত ২০ আগস্ট স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইসরাইল জাহান, রুহুল আমিন, বাবুল মিয়া, আঙ্গুর মিয়া, আবু আহমেদ, নজরুল ইসলাম, আবদুস সাত্তারসহ প্রায় শ’খানেক এলাকাবাসীর স্বাক্ষরে সদর থানার ওসি বরাবরে মাজার নির্মাণ বন্ধের দাবিতে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহও সুপারিশ করেছেন। অনুলিপি দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে। এলাকাবাসী সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় অবিলম্বে মাজার স্থাপনের প্রক্রিয়া বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন। লিখিত আবেদনে বলা হয়, সদর উপজেলার দানাপাটুলি ইউনিয়নের গাগলাইল গ্রামের মৃত গফুর ভূঁইয়ার দুই ছেলে হারিছ মিয়া ও বজলু মিয়া এবং গফুরের ভাতিজা হিরু মিয়া রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে একই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ডা. সুকেশ চন্দ্র রায়ের বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। রাজাকার হারিছ করিমগঞ্জের বালিয়াবাড়ি এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হয়। আর স্বাধীনতার পর লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মামলায় বজলু ও হিরুর সাজা হয়। তারা তিন বছর জেল খেটে মুক্তি পায়। রাজাকার বজলু বাড়িতে এসে এলাকাবাসীর রোষানলের ভয়ে পালিয়ে যায়। চার বছর পর অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাগলা ফকির বেশে এলাকায় ফিরে আসে। কিছুদিন আগে রুগ্ন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এখন তার কিছু আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার কিছু গাঁজাখোর বজলুর কবরটিকে ‘বজলু শাহর’ মাজার বানাবার পাঁয়তারা করছে। বজলুর কবরকে কেন্দ্র করে গাঁজার আসর বসিয়ে অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। গভীর রাতেও সেখানে উচ্চ শব্দে গানবাজনা করা হচ্ছে। এতে এলাকার ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে বলে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে। ফলে এলাকাবাসী এই মাজার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন বলেন তিনি খোঁজ নেয়ার জন্য এলাকায় একজন এসআইকে পাঠিয়েছেন।