জাকারিয়া আগুন (বাগেরহাট প্রতিনিধি): বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলারসহ আরো ৫০ জেলেকে অপহরণের খবর পাওয়া গেছে। বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনী মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে ১নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে মুক্তিপণের দাবিতে ওই জেলেদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় দস্যুরা ট্রলারের মাছ ও অন্যান্য মালামাল লুট করে নেয়। অপহৃতদের বাড়ি বাগেরহাট, শরণখোলা, পাথরঘাটা ও স্বরূপকাঠি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জেলে ও মৎস্যজীবী নেতারা জানিয়েছেন। তবে তাদের নামপরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি। এদিকে, গত ২২ ও ২৩ আগস্ট কচিখালী ও পক্কীর চর সংলগ্ন এলাকা থেকে শরণখোলার একটি ট্রলারসহ অপহৃত ২০ জেলেকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তাদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে অপহৃত ওই ৫০ জেলের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলে কোস্টগার্ড মংলা পশ্চিম জোনের কমান্ডার হাসান জানিয়েছেন। শরণখোলার ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মজিবর তালুকদার জানান, তারা জেলেদের মাধ্যমে অপহরণের খবর জেনেছেন। ভোর ৪টার দিকে জাহাঙ্গীর বাহিনীর ৩৫-৪০ জন সশস্ত্র দস্যু ৩-৪টি ট্রলারযোগে এসে জেলেদের ট্রলারে হানা দেয়। তারা ৩০-৪০টি ট্রলার থেকে কমপক্ষে ৫০ জন মাঝি ও মিস্ত্রিকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় জেলেদের আহরিত ইলিশ মাছ ও অন্যান্য মালামাল লুটে নেয়। এভাবে একের পর এক জেলে অপহরণের ঘটনায় জেলে ও মহাজনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। একেতো সাগরে মাছের দেখা নেই, তার ওপর দস্যুদের অব্যাহত নির্যাতনে এখন জেলেরা সাগরে যেতেও ভয় পাচ্ছেন। দস্যু দমনে সরকারের আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই মৎস্যজীবী নেতারা। কোস্টগার্ড মংলা পশ্চিম জোনের কমান্ডার হাসান জানিয়েছেন, নতুনকরে অপহৃত ৫০ জেলের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তাছাড়া ২০ জেলেকে উদ্ধারে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোঃ জাকারিয়া (আগুন)।খুলনা-বাগেরহাট সংবাদদাতা।
+8801835019625