আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধায় ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও করতোয়া নদ নদীর পানি আবারও বৃহস্পতিবার রাত থেকে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বেড়ে এখন বিপদসীমার ২৬ সে. মি. এবং ঘাঘটের পানি ৩ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদীর পানি বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে জেলার ৭টি উপজেলার ৬২টি ইউনিয়ন দীর্ঘ দু’সপ্তাহ ধরে বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকায় বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। এছাড়া বন্যায় ৩৯ হাজার ৪শ ৪৮ হেক্টর জমির ফসল এখনও জলমগ্ন থাকায় তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, নিমজ্জিত ফসলী জমির মধ্যে ৩০ হাজার ১৭৪ হেক্টর সম্পুর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মধ্যে রয়েছে আমন বীজতলা, রোপা আমন, শাক সবজি, আদা ও কলার ক্ষেত। এতে বন্যায় ২৭৬ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে নদ-নদীর পানি হ্রাস বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলার সহস্রাধিক বাড়িঘর, ফসলী ক্ষেত ব্রহ্মপুত্র যমুনা ও করতোয়ার বুকে বিলীন হয়ে গেছে।