আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের গোদারহাট এলাকায় গত মঙ্গলবার ঘাঘট নদীর ডান তীরে শহর রক্ষা সোনাইল বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ রক্ষা কল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁশের পাইলিং এবং মাটির বস্তা নিক্ষেপের কাজ শুরু করেছে। এ কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার শুরু করা ওই পাইলিংয়ের কাজে নিম্নমানের বাঁশ এবং ক্ষতিগ্রস্ত ওই বাঁধের উপর থেকে মাটি কেটে ছেঁড়া ফাঁটা বস্তায় তা ভরিয়ে নদীতে নিক্ষেপ এবং পাইলিংয়ের ভেতর স্থাপন করা হচ্ছে। নদীতে নিক্ষেপ করা মাটি ভর্তি বস্তা গলে গিয়ে স্রোতের টানে ভেসে যাচ্ছে। অথচ জরুরী টেন্ডারের সিডিউল মোতাবেক বালু ভর্তি বস্তা নদীতে নিক্ষেপ করার কথা। ফলে ভাঙন ঠেকানোর উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে এবং ভাঙন এলাকা ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে। এদিকে ঘাঘটের পানি ভাঙন এলাকা দিয়ে প্রবল বেগে দক্ষিণ দিকের গ্রামগুলোতে প্রবাহিত হওয়ায় আরও নতুন নতুন এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে। ফলে ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া, উদাখালী, গজারিয়া, উড়িয়া এবং সদর উপজেলার বোয়ালি, রামচন্দ্রপুর, বাদিয়াখালি এবং গাইবান্ধা পৌর এলাকার পূর্বাংশে বিভিন্ন মহল্লায় পানি ঢুকে পড়ে ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওইসব এলাকার বাড়িঘর-রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। সেখানকার সদ্য রোপন করা প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমনসহ বীজতলা এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার মাছের খামারগুলো ভেসে গেছে। ছবি সংযুক্ত