জিসান আহমেদ, চুয়াডাঙ্গাঃ (১৩-০৯-১৫)
দীর্ঘ ১২ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। শনিবার বিকালে যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ স্বাক্ষরিত পত্রে এই কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। নতুন কমিটিতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুকে আহ্বায়ক ও আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়।

নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষিত হওয়ার পর রবিবার বিকালে এক পক্ষ শহরে আনন্দ মিছিল বের করে। আনন্দ মিছিলটি বের হয় শহরের নতুন বাজার এলাকা থেকে। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত ও নানান রঙের ফুল ছিটিয়ে ও রং মেখে নেতাকর্মিরা আনন্দ মিছিলটি নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহরের শহীদ হাসান চত্বরের মুক্ত মঞ্চে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নব-গঠিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান ও সদস্য এ্যাড ফিরোজ।

বক্তারা বলেন, আজ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের নতুনভাবে পথ চলা শুরু হলো। নতুন কমিটির নেতারা এখন থেকে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কারা চাঁদাবাজি করতো। তাদেরকে আপনারা চেনেন। আজকের পর থেকে ওই সব চাঁদাবাজদের দিন শেষ। কেউ আপনাদের কাছে চাঁদা চেলে গণধোলাই দিয়ে আমাদের হাতে তুলে দেবেন।

যুবলীগের বিগত কমিটির বেশ কিছু নেতার সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, এখনো সময় আছি মানুষের ভালোবাসা অর্জন করুন। নয়তো পালানোর পথও খুঁজে পাবেন না।

এদিকে, নতুন আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যক্ষান করে ওই কমিটিকে প্রতিহতের ঘোষনা দিয়ে শনিবার রাতে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবলীগের অন্য অংশ। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের পৌরসভা মোড় থেকে বের হয়। পরে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে সমাবেশ করে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের, রেজাউল করিম ও আব্দুর রশিদ।

বক্তারা নতুন কমিটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সন্ত্রাসী ও বোমাবাজ হিসাবে আখ্যা দেন। তারা বলেন, শান্ত চুয়াডাঙ্গাকে অশান্ত করতে যারা দীর্ঘদিন ধরে সক্রীয় ছিলো। তাদের হাতে যুবলীগের নেতৃত্ব নিরাপদ নয়। আমরা তা মানবো না।
সমাবেশ থেকে নব-গঠিত কমিটির সকল কার্যক্রমে প্রতিহত করা হবে বলেও ঘোষনা দেয়া হয়।

এক পক্ষের আনন্দ মিছিল ও অন্য পক্ষের বিক্ষোভ মিছিল থেকে পাল্টা পাল্টি বক্তব্য দেওয়ায় যুবলীগের দু,গ্রুপের নেতাকর্মিদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।