আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের বন্যা কবলিত মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ৯শ’ কেজির ১৮ বস্তা ত্রাণের চাল মঙ্গলবার রাতে বিতরণ না করে আত্মসাতের প্রচেষ্টা চালানো হয়। গোপনে বাজারে চাল বিক্রির করার সময় জনতা ওই চাল বস্তাসহ আটক করা হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজন জানান, সম্প্রতি কামারজানি ইউনিয়নে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য দুই দফায় ছয় মে. টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ৫ মে. টন চাল বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান নুরুন্নবী সরকার ৯শ’ কেজির ১৮ বস্তা চাল বিতরণ না করে নিজের গুদামে মজুদ রাখেন। পরদিন মঙ্গলবার রাতে ওই ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ মিরাজল ও নয়া মিয়া ১৮ বস্তা ত্রাণের চাল কামারজানি বাজারে বিক্রি করতে যান।
এসময় চালের বস্তায় ’খাদ্য অধিদপ্তরের জন্য’ লেখা দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে তারা ১৮ বস্তা চাল আটক করে। এসময় গ্রাম পুলিশ মিরাজল ও নয়া মিয়া পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে খবর দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বুধবার গাইবান্ধা সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাসহ চাল জব্দ করে।