পাইপগান ও কিরিচ উদ্ধার
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ কিশোরগঞ্জে পেট্রল দিয়ে অটোচালক শামিম (১৮) হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় রিমান্ডে থাকা প্রধান আসামি আবির হোসেন জনির স্বীকারোক্তিতে পুলিশ পাইপগান ও কিরিচ উদ্ধার করেছে। শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার আমাটি শিবপুর এলাকার গুনু মিয়ার ফিসারির অদূরে একটি ঝোপের ভেতর থেকে গামছা দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় ব্যাগে রাখা একটি পাইপগান, ইতালির তৈরি একটি কার্তুজ ও একটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানার এসআই মোহাম্মদ আহসান হাবিব বাদী হয়ে ১৮৭৮ সনের অস্ত্র আইনের ১৯-ক/১৯(ঙ) ধারায় মামলা করেছেন। উল্লেখ্য, মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় আমাটিশিবপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে অটোচালক শামিমকে একই গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের মাদকাসক্ত ছেলে আবির হোসেন জনি (২২), মন্নাছ মিয়ার ছেলে আল-আমিন (১৯), লাল মিয়ার ছেলে সাজন (১৫) ও মৃত চান মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (২০) গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে একই এলাকার গুনু মিয়ার মৎস্য খামারের পাশে নিয়ে শামিমেরই পরনের কাপড় দিয়ে হাত-পা বেঁধে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। শামিমের আর্তচিৎকার শুনে এলাকাবাসী উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ভৈরবের কালিকা প্রসাদ এলাকায় ওই রাতেই শামিম মারা যায়। তবে মৃত্যুর আগে শামিম ঘাতকদের নাম বলে গেছে। পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর শামিমের চাচা মানিক মিয়া বাদী হয়ে জনি, সাজন, আল-আমিন ও শফিকুলসহ আরো অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার বিকালেই পুলিশ মিঠামইন উপজেলার গোপদীঘি এলাকা থেকে জনি ও করিমগঞ্জের নিয়ামতপুর থেকে সাজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর জনি ও সাজনকে কারাগার থেকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জনি পাইপগানের কথা স্বীকার করলে শুক্রবার রাতে পুলিশ সেটি উদ্ধার করে। রোববার বিকালেও পুলিশ ও র্যাবের একটি বিশেষ টিম জেলার ইটনা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে শামিম হত্যার অপর নায়ক আল-আমিন (১৯) কে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে মামলায় ০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন।