সৌদি আরবে হজ্জের উদ্দেশ্যে যাওয়া শত শত মানুষ পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারানোর প্রেক্ষাপটে এখনও বাংলাদেশের কোনও ব্যক্তির হতাহত হওয়ার খবর জানাতে পারেনি সৌদি আরবের দূতাবাস কিংবা বাংলাদেশের সরকার।
এদিকে এ হতাহতের খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন হজ্বের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া লাখ লাখ মানুষের স্বজনরা।
বিবিসির সাথে আলাপকালে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, অনেকেই স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারলেও, কেউ কেউ এখনো তাদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি।
ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন তারা। এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিনায় দুটো হট লাইন নম্বর চালু করার খবর জানিয়েছে। সৌদি আরবে বাংলাদেশের দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা মো: আসাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশী কেউ হতাহত হয়েছে কিনা সে তথ্য এখনো তাদের হাতে আসেনি।
এদিকে মিনায় হাজিদের পদদলিত হওয়ার খবর বাংলাদেশে তাদের স্বজনরা প্রথমে জানতে পারেন সামাজিক মাধ্যম এবং অনলাইন এবং টেলিভিশনের খবর দেখে। উদ্বিগ্ন স্বজনরা এরপর তাদের খবর নিতে শুরু করেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করে কেই কেউ খবর জানতে পারেন।
ছবি: জামারাতে পাথর নিক্ষেপ করছেন হাজিরা
এমনই একজন ঢাকার রোকেয়া লিটা জানান, তারা বাবা লুৎফর রহমানের খবর জানতে পারেন বেশ অনেকক্ষণ চেষ্টার পরে। তিনি বলেন ” মিস্টার রহমান মিনায় পাথর ছোঁড়ার রীতি পালনের সময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়”।
কয়েকজন হাজি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরই মিনায় পদদলিত হওয়ার ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে জানান সেখানে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা। এদিকে স্বজনদের সাথে এখনো অনেকেই যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে জানান।
ঢাকার উত্তরার শাসুন্নাহার খানম পপি জানান, তার স্বামী নিরাপদে সুস্থ ভাবে অবস্থান করছেন জানতে পারলেও, নিজের ননদ এবং দুলাভাই এর খবর এখনো জানতে পারেননি তারা।
এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারর আলম ফেসবুকে এক পোস্টে মিনায় দুটো হটলাইন নম্বর চালু করার খবর জানিয়েছেন।
সেই নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে কেউ ফোন ধরেনি।
সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ জানিয়েছেন হতাহতদের মধ্যে বাংলাদেশের কেউ আছে কিনা বিস্তারিত জানতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।বিভিন্ন হাসপাতালে লোক পাঠানো হয়েছে দূতাবাস থেকে ।
তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের অবস্থা সম্পর্কে জানান সম্ভব নয় বলেও জানাচ্ছে দূতাবাস কর্মকর্তারা।