১২ নভেম্বর থেকে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হবে তিনদিনের আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীন, আয়ারল্যান্ড, মিশরের লোকসংগীত শিল্পীদের নিয়ে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলছে এই উৎসব।
বাংলাদেশের ফরিদা পারভীন, মমতাজ বেগম, বারী সিদ্দিকী, রব ফকির, কিরণ চন্দ্র রায়, চন্দনা মজুমদার, শফি মন্ডল, নাশিদ কামাল, সদানন্দ সরকার, নিশিকান্ত সরকার, লাবিক কামাল গৌরবদের পাশাপাশি মঞ্চ মাতাতে পাকিস্তান থেকে আসবেন আবিদা পারভীন ও সাঁই জহুর। ভারত থেকে আসবেন পাপন, ইন্ডিয়ান ওশেন, নুরান সিস্টার্স, রাজস্থান ফোক গ্রুপ, অর্ক মুখার্জী, পবন দাস বাউল, পার্বতী বাউল। আরও আসছে আয়ারল্যান্ডের নিয়াভ নি কারা, চীনের ইউনান আর্ট ট্রুপ ও ইজিপ্ট থেকে আলেক্সান্দ্রিয়া ড্যান্স ট্রুপ।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, দর্শকরা অনলাইনে বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে পারবেন। www.dhakafolkfest.com -অ্যাড্রেসে গেলেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। ফেইসবুকের ইভেন্ট পেইজ `dhaka folk fest’ – এ গেলে জানা যাবে উৎসবের বিস্তারিত। আয়োজকরা আশা করছেন, প্রতিদিন ত্রিশ হাজারেরও বেশি দর্শক উৎসবটি দেখতে আসবেন আর্মি স্টেডিয়ামে। ১২ নভেম্বর সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হবে এই আয়োজন।
বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উৎসব আয়োজক সান ইভেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী বলেন, “নতুন প্রজন্মের অনেকের মধ্যেই লোকসংগীতের ব্যাপারে আগ্রহের অভাব দেখা যায়। সঠিক পরিকল্পনা, চর্চা এবং পৃষ্ঠপোষকতার অভাবেই এ অনাগ্রহ তৈরি হচ্ছে। দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা এবং বিশ্বের সামনে তুলে ধরার ইচ্ছার পাশাপাশি তরুণদের ফোক মিউজিকের ব্যাপারে উৎসাহী করে তুলতে আমাদের এই আয়োজন।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মিসরের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জাত বলেন, “যে কোনো দেশের সংস্কৃতির মূল স্তম্ভ হল ফোক গান। মিশরেরও রয়েছে লোক সংস্কৃতির নানা গান, নানা উপাদান। সম্প্রতি লোকগান নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে মিশর, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপানসহ বিশ্বের নানা দেশ। এবার বাংলাদেশে এমন এক আয়োজন হতে চলছে।
লালনগীতির গায়িকা ফরিদা পারভিন বলেন, “বাংলা গানের হাজার বছরের সংস্কৃতির ধারক লোকগান। এই লোকগানের মাধ্যমে বড় সহজ-সাবলীলভাবে বাংলাদেশের অস্তিত্বের কথা উদাত্ত কণ্ঠে বলা যায়। লোকগানের উৎসবের যে আয়োজনটি হচ্ছে, এই ধরনের আয়োজন নিয়মিত হলে বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে পড়বে আমাদের বাংলা লোকগান। পাশাপাশি অন্য দেশের লোকগানের নানা ধারা নিয়েও আমরা জানতে পারব।”
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, “লোক সংগীত বাংলাদেশের সংস্কৃতির গভীরে শিকড় ছড়িয়ে রেখেছে। শুধুমাত্র বাংলার মানুষের জীবনধারা নয়, বরং বিভিন্ন ধর্মের প্রার্থনায়, বিভিন্ন মানুষের বৈচিত্রময় জীবনযাপনে লোক সংগীত জড়িয়ে আছে শক্তভাবে।