সম্পাদনায়- আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: নাদিম নেওয়াজ আহমেদ। মডেল ফটোগ্রাফার। সিলেটের পরিচিত মুখ। নিন্দুকের দৃস্টি ভেঙ্গে দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিউটি পেজেন্ট এর অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার ও এনালাইস্ট হিসেবে।কাজ করে চলেছেন বেশ ক’বছর ধরে।
শুরুর সময়টা ২০০৭ সাল।অল্প পরিসরে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি দিয়ে শুরু। তারপর দেশের গন্ডি পেরিয়ে ২০১১ সালের দিকে যায়গা করে নেন প্রথম বার থাইল্যান্ডে হয়ে যাওয়া এক সুন্দরী প্রতিযোগীতার অফিসিয়াল ফটোগাফার হিসেবে। তারপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি। একে একে আসতে থাকে বিভিন্ন দেশ থেকে অফিসিয়াল ফটোগ্রাফির করার অফার। জড়িয়ে পড়েন মিস্ সুপার টেলেন্ট ওর্য়াল্ড, মিস্ সাউথ ইস্ট-এশিয়া, সুপারমডেল ইন্টারন্যাশনাল, মিস্ কসমোপলিটন ওর্য়াল্ড এর মতো বড় বড় সুন্দরী প্রতিযোগীতার মূল ফটোগ্রাফার হিসেবে নিয়োগ।
ফটোগ্রাফির শুরুর কথা জানতে গেলে স্বদেশ নিউজ২৪.কমকে বলেন, আমার মেজ মামার হাত ধরেই মুলত ক্যামেরা হাতে নেয়া। প্রথম কেমেরা কেনন টি-৭০। শখের বসেই নিজের ফ্যামেলির বিভিন্ন প্রোগামে ছবি তুলতাম। সবাই উৎসাহ দিত। মামাও আমাকে দেখিয়ে দিতেন মাঝে মাঝে দেশে আসলে। তিনি প্রবাসি। মাঝে মাঝে দুই বোন কেও বাসার ছাদে নিয়ে মডেল বানাতাম। এইতো শুরু। তারপর একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়া। এবং ঢাকায় গিয়ে নাম করা এক ফটো গ্রাফারের সাথে থেকে হাতে কলমে শিক্ষা নেয়া। ঔ সময় যদি তিনি আমার পাশে না থাকতেন হয়তো আমি এ পর্যায়ে যেতে পারতাম না। এখানে শেখার কোন শেষ নেই। এখনো আমি শিখে যাচ্ছি। সময় পেলেই ভাল ভাল মডেল ফটোগ্রাফির উপর খোজ খবর নিয়ে বই সংগ্রহ করি।
প্রথম ডাক পাই মিস সুপার মডেল অফ এশিয়া পেসিফিক থেকে। যার হোস্ট কান্ট্রি ছিল থাইল্যান্ড। তার পর ধিরে ধিরে ফেইস অফ বিউটি, মিস কস্মোপলিটন, সুপারমডেল ইন্টারন্যাশনাল, সাউসইস্ট এশিয়া সুপার টেলেন্ট সহ বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। নিজের গড়ে তোলা “নাদিমস্ ফটোগ্রাফি” ব্যানারে বিভিন্ন দেশের কাজের অভিগত্যা লাভ করি। আর সেই সূত্র ধরে যাওয়া হয়েছে দ: কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, ইন্ডিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া এর মতো বিভিন্ন দেশে। আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে যারা সুন্দরী প্রতিযোগীতার খোজ খবর রাখেন বা জড়িত আছেন তাদের প্রায় সবাই “নাদিমস্ ফটোগ্রাফি” বলতেই আমাকে চিনেন। ইতি মধ্যে ইন্ডিয়া, ইজিপ্ট, সাউথ আফ্রিকা ও মিশর থেকেও অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করার অফার পেয়েছেন।এখন অপেক্ষা শুধু সময় আর সুযোগ।
কঠিন সময় : সুন্দরী প্রতিযোগীতার বিভিন্ন ধাপ থাকে। তেমনি একটি ধাপ মিস্ ফটোজেনিক এওর্য়াড। বিশ্বের প্রায় ৫০/৬০ টা দেশ থেকে আসা সুন্দরীদের থেকে বের করতে হয় মিস্ ফটোজেনিক।এ কাজ টা মাঝে মাঝে আমাকেও করতে হয়েছে। যেহেতু আমি অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার হিসেবে থাকি তখন আমাকেই এই কঠিন সময় পার করতে হয় কাকে দিব মিস্ ফটোজেনিক এওর্য়াড।
স্বপ্ন : আমি তো স্বপ্নবাজ মানুষ। স্বপ্ন দেখি সুন্দরীদের সেরা আসর মিস্ ওর্য়াল্ডের এবং মিস্ ইউনিভার্স এর অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার হওয়া।
বাবা : মরহুম তারেক আহমেদ
মা : মরহুমা রাবেয়া আহমেদ
ঠিকানা : মশরাফিয়া স্টেইট, কদমতলী, পাঠানপাড়া, সিলেট।
ফটোগ্রাফি মেম্বার:
ওয়েডিং এন্ড পোট্রেট ফটোগ্রাফার ইন্টারন্যাশনাল – ইউ এস এ
বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি সোসাইটি – বি পি এস
সিলেট ফটোগ্রাফি সোসাইটি – এস পি এস
নিজস্ব প্রতিষ্ঠান : নাদিমস্ ফটোগ্রাফি – সিলেট।