ওলামা লীগ নেতা ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালীই আনসারুল্লাহ’র এজেন্ট বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির আরেক অংশের নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার দলের একাংশের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা মো. আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী ও সহ সভাপতি মাওলানা মো. আব্দুস সাত্তার এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন। এর আগে গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী বলেন, ওলামা লীগকে কলঙ্কিত করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নামে একটি ই-মেইল ঠিকানা থেকে যে বার্তা এসেছে, আমাদের ধারণা এই বার্তাটি ওলামা লীগের নামধারী সেই নেতারা পাঠিয়েছেন। এই নেতাদের রিমান্ডে নিলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। এর একদিন পর আজ বৃহস্পতিবার অপর অংশের নেতাদের পক্ষ থেকে এ বিবৃতি আসে। হেলালীকে ওলামা লীগের স্বঘোষিত নেতা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল (বুধবার) গণমাধ্যমে ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আখতার হুসাইন বোখারী এবং কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরীসহ ওলামা লীগ নেতৃবৃন্ধের নামে কথিত আনসারুল্লাহ’র যে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী কাজী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেয মাওলানা মো: আব্দুস সাত্তার, সহ-সভাপতি মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি এবং মুফতি মাওলানা মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী। যুক্ত বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাগেরহাটের কুখ্যাত মনসূর রাজাকারের ছেলে হেলালী আমাদেরকে আনসারুল্লাহ বলায় প্রমাণিত হয়েছে সে নিজে আনসারুল্লাহ’র সদস্য। কারণ আনসারুল্লাহ’র সদস্যই কেবল আনসারুল্লাহ’র সদস্যকে চিনতে পারে। সে যদি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য না হয় তাহলে চিনল কিভাবে? তাই তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার আনসারুল্লাহ জঙ্গি কানেকশন বের হয়ে আসবে। তাছাড়া রাজাকারের ছেলে হেলালী যে আনসারুল্লাহ সাথে জড়িত নয় কি প্রমাণ আছে তার? এছাড়া ওলামা লীগের মানববন্ধনে হামলার অভিযোগ এবং আনসারুল্লাহ’র নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়ায় হেলালী ও তার বাহিনীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি করা হয় বিবৃতিতে।