বিপিএলে বরিশাল বুল’স এর অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ হয়ে কাজ করবেন যিনি তিনি আর কেউ নয় জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দল থেকে সদ্য অবসর গ্রহন করা ক্রিকেটার ব্রেন্ডন টেইলর।
পূর্ণ নাম ব্রেন্ডন রস মারে টেলর (ইংরেজি: Brendan Ross Murray Taylor) তাঁরজন্ম: ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ সালে হারারে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে দলের একজন ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ তিনি একজন ব্যাটসম্যান। কিন্তু দলের প্রয়োজনে কখনো কখনো তাকে উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং মাঝে মাঝে অফ-স্পিন বোলিংও করে থাকেন। তাকে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা প্রতিভাবান ও অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি জিম্বাবুয়ের টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর সাবেক অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরার কাছ থেকে দলের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
ডিসেম্বর, ২০১১ সালে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে বিদেশী খেলোয়াড়রূপে নিউজিল্যান্ডের এইচআরভি কাপ প্রতিযোগিতায় ওয়েলিংটন ক্রিকেট দলের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে অসম্ভব দক্ষতা, ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন এবং শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের চাপে তাকে ১৮ বছর বয়সে জাতীয় ক্রিকেট দলে অন্তর্ভূক্ত করে ২০০৩-০৪ মৌসুমে শ্রীলঙ্কা সফরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অভিষেককালীন সময়ে দেশের অনেক শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারগণ জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের (সাবেক – জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেট ইউনিয়ন) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। তাদের এ অনুপস্থিতিতে অনেক তরুণ খেলোয়াড় অপরিপক্ক অবস্থায় দলে ঠাঁই পায়। কিন্তু, টেলর ছিলেন তরুণতম এবং উদীয়মান খেলোয়াড়। ২০০৬ সালে নতুন করে চুক্তিবদ্ধ না হওয়া স্বত্ত্বেও টেলর জাতীয় দলে অন্তর্ভূক্ত হন। তাতেন্দা তাইবু’র সাময়িক অনুপস্থিতিতে তিনি উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।
২৪ জুলাই, ২০১৪ তারিখে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সিদ্ধান্তমাফিক সকল স্তরের ক্রিকেটে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে টেলরকে টেস্ট ক্রিকেট ও এলটন চিগুম্বুরাকে ওডিআই এবং টি২০ দলের অধিনায়কত্ব প্রদান করা হয়। এছাড়াও কোচিং কাঠামোয় পরিবর্তনের অংশ হিসেবে স্টিফেন ম্যানগোঙ্গোকে প্রধান কোচের দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়।
প্রথম জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০১১ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরপর দুইটি সেঞ্চুরি করেন। অক্টোবর মাসে তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৮* ও অপরাজিত ১০৭* রান করেছিলেন।
২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় তার অপরাজিত ৬০ রানের সুবাদে জিম্বাবুয়ে ৫ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে স্মরণীয় জয় পায়। অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্যে এ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার লাভ করেন।